নেতাদের নৈতিক স্খলন, উগ্রবাদী বক্তব্য আর কর্মীদের সহিংসতার দায়ে হেফাজতে ইসলামের আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্তের পাশাপাশি সংগঠনটি নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে ইসলামি ঐক্যজোট।
মঙ্গলবার, জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে, হেফাজতে ইসলামে জামায়াত শিবির অনুপ্রবেশ করেছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান মো. মিছবাহুর রহমান চৌধুরী বলেন, হেফাজত ইসলামের আমির আহমদ শফীর মৃত্যুর পর সংগঠনটির নেতৃত্ব ‘আন্তর্জাতিক উগ্রপন্থিদের অনুসারী, ক্ষমতালোভী একদল আলেম নামধারী কুচক্রীদের’ হাতে চলে যায়। সে লোকগুলোর সঙ্গে জামায়াত-শিবির ও তাদের মিত্রদের গোপন শলাপরামর্শের মাধ্যমে কওমি মাদ্রাসাকে কুক্ষিগত করে তাদের সামনে হেফাজতের ব্যানারে জ্বালাও, পোড়াও, লুটপাট, হত্যা, নৈরাজ্য করে দেশের গৃহযুদ্ধ বাঁধিয়ে সরকার পতনের লক্ষ্যে দেশ ও বিদেশি ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছিল।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাবলী তাণ্ডব থেকে মহাতাণ্ডবের দিকে যাওয়ার আগে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। কিন্তু ষড়যন্ত্র এখনও শেষ হয়নি। ছদ্মবেশীরা আবার রং বদল করে সরকার ও দেশবাসীকে ধোঁকা দেওয়ার নতুন পরিকল্পনা করছে।
এ সময় কওমি মাদ্রাসা থেকে হেফাজতের সহিংসতায় জড়িত নেতা ও শিক্ষার্থীদের বহিস্কারের দাবিও জানানো হয়। পাকিস্তানসহ বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সাথে ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকায় হেফাজত নেতা মামুনুল হকের দলের নিবন্ধন বাতিলের দাবিও করেন ঐক্যজোটের নেতারা।