তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২০৩ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে ১-০তে এগিয়ে ভারত।
বিশাখাপত্তমে প্রথম ইনিংসে মায়াঙ্ক আগারওয়াল ও রোহিত শর্মার সেঞ্চুরিতে ৭ উইকেটে ৫০২ রান কোরে ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা। জবাবে ডিন এলগার ও কুইন্টন ডি ককের সেঞ্চুরিতেও ৪৩১ রানে গুটিয়ে যায় প্রোটিয়াদের প্রথম ইনিংস। ২য় ইনিংসে ভারত ৪ উইকেটে ৩২৩ রান কোরে ইনিংস ঘোষণা করলে দক্ষিণ আফ্রিকার টার্গেট দাড়ায় ৩৯৫ রানের। ১ উইকেটে ১১ রান নিয়ে ৫ম ও শেষ দিনের ব্যাট শুরু করে ফাফ দু-প্লেসির দল।
দ্বিতীয় ইনিংসে পঞ্চম দিনে ভারতীয় বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারল না দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইন আপ। মোহাম্মদ শামি আর জাদেজা বল ধ্বসিয়ে দেয় সফরকারীদের ইনিংস। ৩৫ রান দিয়ে ৫ উইকেটে নেন এই ভারতীয় শামি, ৪ উইকেট রবিন্দ্র জাদেজার।
প্রথম ইনিংসে ভারতের রানের পাহাড় তাড়া করা এলগার, দু'প্লেসিরা কোনও প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারলেন না দ্বিতীয় ইনিংসে। ডিন এলগার দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই চতুর্থ দিনে আউট হয়ে যান। পঞ্চম দিনে প্রথমে ফিরেন তেম্বা বাভুমা (০)। এর পর আর কোনও ব্যাটসম্যানই ক্রিজে টিকতে পারেননি। থিউনিস ডে ব্রুয়েন ১০, ফাফ দুপ্লেসি ১৩, কুইন্টন ডি কক ০, ভার্নন ফিলান্ডার ০, কেশব মহারাজ ০ রানে প্যাভেলিয়নে ফিরে যান। ৭০ রানে আট উইকেট চলে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার।
এর পর কিছুটা খেলার চেষ্টা করেন দক্ষিণ আফ্রিকার সেনুরাম মুথুস্বামী ও ডেন পিত। লাঞ্চ ব্রেকে দক্ষিণ আফ্রিকার রান দাঁড়ায় ১১৭ রানে ৮ উইকেট। ২৭৮ রানে পিছিয়ে থেকে লাঞ্চের পর খেলা শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকার। শেষের দিকে মুথুস্যামি ও পিদেত ভারতীয় বোলারদের ভালই সামলান। দু’জনের যোগ করেন ৯১ রান। মুথুস্যামি ও পিদেতের পার্টনারশিপ ভাঙেন সামি। পিদেত করেন ৫৬ রান। মুথুস্যামি ৪৯ রানে অপরাজিত থেকে যান। প্রোটিয়াদের দ্বিতীয় ইনিংস থামে ১৯১ রানে।