নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকরের ‘বিরোধিতায়’ দেশের ১৮টি জেলায় পরিবহন বাস চালাচ্ছেন না শ্রমিকরা।
নতুন সড়ক পরিবহণ আইনে বাড়তি সাজা বাতিলের দাবিতে দেশের ১৮ জেলায় বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। আগাম ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা।
নতুন সড়ক পরিবহণ আইনে রাখা বাড়তি সাজা বাতিলের দাবিতে গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন পরিবহণ শ্রমিকরা। এতে সব ধরণের যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
টাঙ্গাইলে দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছেন পরিবহণ শ্রমিকেরা। জেলার প্রধান বাসস্ট্যান্ড থেকে সীমিত আকারে যানবাহন চলাচল করলেও জেলার বেশ কয়েকটি উপজেলায় বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
অঘোষিত পরিবহণ ধর্মঘটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে খুলনার ১৮টি রুটে। নতুন আইনের কিছু ধারা সংশোধনের দাবিতে বাস শ্রমিকেরা এই কর্মবিরতি পালন করছে। আগাম ঘোষণা ছাড়াই বাস চলাচল বন্ধ রাখায় চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
যশোরে ১০ দফা দাবিতে ৩য় দিনের মতো চলছে পরিবহণ ধর্মঘট। এতে আন্তঃজেলা বাসের পাশাপাশি খুলনা ও যশোর থেকে ঢাকাসহ সব দুর-পাল্লার যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এদিকে, ট্রাক শ্রমিকরা কর্মবিরতি শুরু করায় অচল হয়ে পড়েছে বেনাপোল স্থলবন্দর।
ঝিনাইদহে আন্তঃজেলার বিভিন্ন রুটের পাশাপাশি দূরপাল্লার পরিবহণগুলোও মঙ্গলবার সকাল থেকে চলাচল বন্ধ রেখেছে। ফলে ঝিনাইদহ থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রংপুর, দিনাজপুরসহ উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলে কোন বাস চলছে না।
চুয়াডাঙ্গা থেকে দূরপাল্লা ও আন্তঃজেলা রুটে বাস বন্ধ থাকায় অন্যান্য যানবাহনে দ্বিগুণ ভাড়া নেয়ার অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা । ময়মনসিংহ ও শেরপুর থেকেও বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। পরিবহণ না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন যাত্রীর। বাস না পেয়ে অনেকে বিকল্প পথে রওনা দিয়েছেন, কেউবা ফিরে গেছেন।
বরিশালে আগাম ঘোষণা ছাড়াই বন্ধ হয়ে গেছে স্থানীয় ৮টি রুটসহ দূরপাল্লার বেশিরভাগ বাস চলাচল। তবে ঢাকার উদ্দেশে বাস ছেড়ে আসছে। হঠাৎ করে বাস বন্ধ করে দেয়ায় যাত্রীরা ক্ষুব্ধ। তাদের জিম্মি করে এ ধরণের কর্মসূচি দেয়ায় অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
এছাড়া, কুষ্টিয়া, নড়াইল, মাদারীপুর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, মেহেরপুর,শরীয়তপুরসহ বেশ কয়েকটি জেলায় বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। শ্রমিকরা বলছেন, অনিচ্ছাকৃত দুর্ঘটনার জন্য নতুন সড়ক আইনে তাদের ঘাতক বলা হচ্ছে। এ কারণেই আইনটি সংশোধন চান তারা।