করোনার প্রভাবে হওয়া আর্থিক ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে ৬২ জন কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড।
করোনাভাইরাস পাল্টে গেছে গোটা দুনিয়া। বোদলে গেছে ক্রিকেট। এখন জৈব সুরক্ষা বলয়ে হচ্ছে খেলা। মাঠে নেই দর্শক। তাই আয়ের খাতায়ও সেভাবে পড়ছে কলমের দাগ। টানা কয়েক মাস মাঠে ছিলোনা ক্রিকেট। এর প্রভাব পড়েছে ক্রিকেট বোর্ডগুলোতে।
নিজেদের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড। ৬২ কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে ইসিবি।
করোনা মহামারিতে ২১৯০ কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছে ইসিবি, জানিয়েছেন প্রধান নির্বাহী টম হ্যারিসন।
খেলোয়াড়দের পরবর্তী চুক্তিপত্র নিয়ে দুই পক্ষের আলোচনা চলছে। তবে নারীদের টুর্নামেন্টে ক্রিকেটারদের চুক্তি আগামী বছর পর্যন্ত আটোমেটিক বাড়বে। পুরুষ জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের তহবিল ২০ শতাংশ ছোট হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গেল মে মাসে সম্ভাব্য ক্ষতির পরিমাণ ৩৬ কোটি পাউন্ডের বেশি হওয়ার আশঙ্কা করেছিলেন ইসিবি সিইও। তবে ‘জীবাণুমুক্ত পরিবেশ’ তৈরি করে ইংল্যান্ড পুরুষ দলের সব আন্তর্জাতিক সিরিজ আয়োজন করতে পারায় আর্থিক ক্ষতি কিছুটা কমেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলতে যাচ্ছে নারী দল। পুরোদমে শুউর হয়ে গেছে ডোমেস্টিক ক্রিকেটও।
হান্ড্রেড টুর্নামেন্ট থেকে বড় অঙ্কের অর্থ আয়ের স্বপ্ন দেখেছে ইসিবি। যদিও ২০২১ সাল পর্যন্ত পিছিয়ে গেছে ১০০ বলের টুর্নামেন্ট ‘দা হানড্রেড’ এর প্রথম আসর।