২৪ বছরে লিখেছেন তিনটি বই। ২৭ হাজার শব্দের তিন বইয়ের প্রতিটির শব্দের শুরু 'ক' বর্ণ দিয়ে। 'কেষ্ট কবির কষ্টগুলো', 'কষ্টে কবির কনফারেন্স' আর 'কেষ্ট কবি' এই তিনটি গল্পের বইয়ের স্রষ্টা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এস এম নাজমুল কবির ইকবাল।
গ্রামের মক্তবে শিক্ষা জীবন শেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। কিছুদিন শিক্ষকতা শেষে সাহিত্য সাধনায় আত্মনিয়োগ করেন।
"ক" বর্ণ দিয়ে প্রতিটি শব্দের শুরু। এভাবেই শব্দ গেঁথে গেঁথে লিখেছেন তিনটি গল্পের বই।
লেখক এস এম নাজিমুল কবির ইকবাল (ইসমোনাক) বলেন, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরি, গণগ্রন্থাকার, বাংলা অ্যাকাডেমি গ্রন্থাকার এসব জায়গা থেকে আমি প্রায় আড়াই লাখ শব্দ সংগ্রহ করেছি যেগুলো শুরু হয়েছে 'ক' দিয়ে। তারপর রচনা নশুরু করেছি।
৪০ কোটি বাংলা ভাষা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চান এই লেখক। লেখক এস এম নাজিমুল কবির ইকবাল (ইসমোনাক) বলেন, আমি কোন প্রাপ্তি থেকে এ কাজ করেনি, সাহিত্য সাধনা করেনি। আমি চাই আমার এই উদ্বাবন মানুষের কাছে পৌঁছায়া যাক।
বাংলা সাহিত্য এবং বিশ্ব সাহিত্যে এটিকে বিরল বলে দাবি করে গবেষণার মাধ্যমে এর শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরার আহ্বান বিশিষ্টজনদের।
আর লেখককে সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতার আশ্বাস ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খানের। তিনি বলেন, তার এই কর্ম কিভাবে মূল্যায়ন করা উচিত তা সুধীজনরাই ভালো জানবে। আমাদের পক্ষ থেকে আমরা আর্থিক একটা অনুদান দিয়েছি।
সৃষ্টিকর্মের মাধ্যমে আজীবন মানুষের মাঝে বেঁচে থাকার প্রত্যাশা সৃষ্টিশীল লেখক ইসমোনাক এর। ইসমোনাক এর একমাত্র চাওয়া গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পাক তার সাহিত্যকর্ম।