নাম ঢাকের হাট হলেও এখানে বাদ্যযন্ত্র বেচাকেনা হয় না।
ঢাক-ঢোলের বাজনা ছাড়া দুর্গাপূজা অপূর্ণ। মহাষষ্ঠী থেকে বিসর্জন-সবখানেই চাই ঢাকের আওয়াজ। কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে ৫শ' বছরের ঐতিহ্য মেনে দুর্গোৎসবের সময় বসে ঐতিহ্যবাহী এই ঢাকের হাট। ষষ্ঠীর আগের দিন থেকে মোট দুই দিন বসে এই হাট।
নাম ঢাকের হাট হলেও, এখানে বাদ্যযন্ত্র কেনাবেচা হয় না। এই হাটে ঢাকিরা আসেন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে। অর্থের বিনিময়ে চুক্তিবদ্ধ হন বিভিন্ন পূজামন্ডপে। এরাই বাদ্যের তালে তালে মাতিয়ে রাখেন পূজামন্ডপ। কোন দলের চুক্তিমূল্য কতো হবে, তা নির্ধারণ হয় ঢাকিদের দক্ষতার ওপর। সর্বনিম্ন ১০ হাজার থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত ওঠে চুক্তির দর।
জনশ্রুতি আছে, ষোড়শ শতকের প্রথমভাগে রাজা নবরঙ্গ রায়ের আমলে কটিয়াদীতে প্রথম ঢাকের হাটের সূচনা। তখন নৌপথে বহু ঢাকি আসতেন এখানে। রাজা নিজে বাজনা শুনে সেরা দলটি বেছে নিতেন। সেই থেকেই প্রচলন এই ঢাকের হাটের।
কয়েক'শ বাদকদলের বাজনায় এখানে উৎসবের আবহ সৃষ্টি হয়। স্থানীয়রা জানান, অবকাঠামোগত সুবিধা নিশ্চিত করলে আরও জমজমাট হবে ঐতিহ্যবাহী এই ঢাকের হাট।