গাইবান্ধাসহ দেশের ৯ জেলার ৪১২টি স্কুলে চালু হয়েছে নারীদের জন্য বিশেষায়িত টয়লেট ব্যবস্থা । বেসরকারি উদ্যোগে চালু হলেও এবার একই পদ্ধতির 'ইনক্লুসিভ স্কুল স্যানিটেশন কমপ্লেক্স' স্থাপনের প্রকল্প নেয়া হয়েছে সরকারিভাবেও।
দেশের সব এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেটের সংকট বরাবরই। মেয়েদের বেলায় এই সংকট আরও তীব্র।
সংকট সমাধানে নারীদের জন্য বিশেষায়িত টয়লেট ব্যবস্থা বা 'ইনক্লুসিভ স্কুল স্যানিটেশন কমপ্লেক্স' চালু হয়েছে গাইবান্ধাসহ ৯ জেলার বেশকিছু স্কুলে। এমন উদ্যোগে এগিয়ে এসেছে বেসরকারি সংস্থা ওয়াটার এইড।
শুরুটা বেসরকারি সংস্থার হাতে হলেও নারীদের জন্য বিশেষায়িত টয়লেট ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সরকারিভাবেও। গাইবান্ধার শিক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, এর মাধ্যমে গ্রামীণ নারীদের অগ্রযাত্রায় বেশকিছু বাধা অতিক্রম করা সম্ভব হবে।
গাইবান্ধা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহতাব হোসেন বলেন, যেসব স্কুলে ইনক্লুসিভ স্যানিটেশন ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা হয়েছে সেখানে শিক্ষার্থীদের সংখ্যার হারও ভালো। এই উদ্যোগ পুরো দেশেই বাস্তবায়ন করা উচিত।
গাইবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, এসব প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা সামনে এগিয়ে যাচ্ছি। এমন প্রকল্প যদি সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়া হয় তাহলেই আমরা শতভাগ স্যানিটেশন নিশ্চিত করতে পারবো।
নারীদের এগিয়ে যাওয়ার পথে এখনও অনেকটা বাধা স্বাস্থ্য বিষয়ে প্রচলিত নানা সামাজিক ট্যাবু। যা কাটিয়ে উঠতে দরকার সবার সহযোগিতা।
মেরি স্টোপসের ব্যবস্থাপক মনজুন নাহার বলেন, বেসরকারি উদ্যোগে যে কাজ করা হচ্ছে সেটি হচ্ছে তারা প্রচুর পরিমানে প্রচারণা চালাচ্ছে এটি লাইফ সাইকেলের একটা পার্ট। সরকারও কিন্তু এমন উদ্যোগ নিচ্ছে কিন্তু তাদের আরও প্রচারণা করা দরকার।
সুস্থ্য প্রজন্ম গড়ে তুলতে কিশোর কিশোরীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে সঠিক ধারনা দেয়ার তাগিদ সংশ্লিষ্টদের।