জাতীয়, জেলার সংবাদ

‘আমি বিচার চাই...নয়তো আমাকে মেরে ফেলুন’

Kamrul Islam Rubel

ডিবিসি নিউজ

বুধবার ৯ই অক্টোবর ২০১৯ ১০:৩২:২২ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

''বিচার চাই...আমি বিচার চাই...নয়তো আমাকে মেরে ফেলুন। বাবা মা একবারে কষ্ট পাবে।।।‘’

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফায়াজ বুধবার পুলিশের লাটিচার্জের শিকার হয়েছেন। বুয়েটের ভিসি অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বুধবার দুপুরে আবরারের বাড়িতে গেলে গ্রাম বাসীর বাধার শিকার হন এবং আবরারের বাড়িতে প্রবেশ করতে না পেরে সেখান থেকেই ফিরে আসেন। এ সময়, সেখানে এলাকবাসীর সঙ্গে অনাকাঙ্খিত ঘটনার সৃষ্টি হলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এতে, আবরারের ছোট ভাই, ফুপু, ফুপাত ভাইয়ের স্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।

এরপরই, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফাইসবুকে এক আবেগঘন স্ট্যাটাস দেন। ফেইসবুকে আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফায়াজ যে স্ট্যাটাস দিয়েছেন তা তুলে ধরা হল-

‘’আজকে Additional SP (উনি বলেন উনার নাম মোস্তাফিজুর রহমান) কোথা থেকে সাহস পায় আমার গায়ে হাত দেয়া? আমার ভাবি কে মারছে? নারীদের গায়ে নিষ্ঠুরভাবে হাত দেয়? এই চাটুকারদের কি বিচার হবে না? তিনি কালকে ২ মিনিটের মধ্যে জানাযা শেষ করতে বলেন কিভাবে? যেই ছাত্রলীগ মারল তারা কেন সর্বত্র? আমার বাবাকে হুমকি দেয়া হয়েছে আপনার আর এক ছেলে ঢাকা থাকে আপনি কি চান তার কোনো ক্ষতি হোক...... গ্রামে বলা হয়েছে কেও কিছু করলে ১ সপ্তাহ পর গ্রামের সব পুরুষ জেলে থাকবে।।। বিচার চাই...আমি বিচার চাই...নয়তো আমাকে মেরে ফেলুন। বাবা মা একবারে কষ্ট পাবে।।‘’

স্ট্যাটাটি দেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে। অনেকেই আবার সেটা নিজের ফেইসবুক ওয়ালে শেয়ার করেন।

জানা যায়, বুধবার বিকেল ৪টার দিকে বুয়েটের ভিসি কুষ্টিয়া সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখান থেকে আবরারের গ্রামে যান বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে। গ্রামে পৌঁছেই পোনে ৫টার দিকে আবরারের কবর জিয়ারত করে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ভিসি অধ্যাপক সাইফুল। এরপর, আবরারের বাড়ির সামনে পৌঁছাতেই নারীদের বাধার মুখে পড়েন বুয়েটের ভিসি।

এ সময়, আবরারের বাবা ও ভাই ভিসিকে প্রশ্ন করেন, হত্যাকাণ্ডের পর আপনি কেন সেখানে উপস্থিত হননি, জানাযায় কেন আসেননি? এখন কেন এখানে এসেছেন? তারপরও আবরারে বাড়িতে ঢোকার সময় ভিসির গাড়ির সামনে নারীরা শুয়ে পড়েন। পরে, পুলিশ লাঠিচার্জ করলে আবরারের ছোট ভাই ফায়াজ, ফুপু এবং ফুপাত ভাইয়ের স্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।

আবরারের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় পুলিশের কয়েকজন সদস্য তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন। তাদের হামলাতেই আবরারের ছোট ভাই, ফুপু ও ফুপাত ভাইয়ের স্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

গাড়ি থেকে নেমে এগুতো না পারায় আবার গাড়িতে উঠে পুলিশ প্রহরায় ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন বুয়েটের ভিসি। পরে, স্থানীয়রা নারী-পুরুষ মিছিল করে ঘটনার প্রতিবাদ জানান।

 

আরও পড়ুন