অবশেষে অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হল রাশিয়া ও ইউক্রেন। বুধবার প্যারিসে বৈঠকের পর অস্ত্রবিরতিতে একমত হয় মস্কো এবং কিয়েভ।
ফ্রান্স ও জার্মানি'র উদ্যোগে আলোচনার পর এবার ইউক্রেন ইস্যুতে কিছুটা ইতিবাচক অগ্রগতির ইঙ্গিত মিলেছে। বুধবার ৮ ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের পর অস্ত্রবিরতির বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছায় রাশিয়া ও ইউক্রেন। দুই সপ্তাহ পরে জার্মানির বার্লিনে আরেক দফা আলোচনা চলবে।
এএফপির খবরে বলা হয়েছে—প্যারিসে আলোচনায় রাশিয়া ও ইউক্রেন একমত হয়েছে যে, সব পক্ষের একটি অস্ত্রবিরতি পালন করা উচিত। মস্কো ও কিয়েভের অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হওয়ার সিদ্ধান্তকে ‘ভালো সংকেত’ বলে স্বাগত জানিয়েছেন ফ্রান্সের এক কূটনীতিক।
এদিকে, ইউক্রেনকে ন্যাটো জোটে অন্তর্ভুক্ত না করার ব্যাপারে রাশিয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার এক চিঠিতে ক্রেমলিনকে একথা জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এর আগে, পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর সেনা মোতায়েন এবং নিরাপত্তা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে লিখিত জবাব চায় রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরোভ। এরপরই কূটনৈতিক সমাধানের জন্য ক্রেমলিনকে চিঠি দেয় হোয়াইট হাউজ।
এছাড়া রাশিয়ার কাছে বেশ কিছু প্রস্তাব উত্থাপন করে চিঠি দিয়েছে ন্যাটো। জোটটির মহাসচিব জেন্স স্টোলটেনবার্গ এমনটাই জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব হবে বলে আশাবাদী হলেও সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির জন্যে প্রস্তুত আছে ন্যাটো।
গেল কয়েক সপ্তাহে ইউক্রেন সীমান্তে সামরিক উপস্থিতি জোরদার করে রাশিয়া। ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া এক লাখ সেনার সমাবেশ ঘটিয়েছে। এরপরই পশ্চিমা দেশগুলো বলছে, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে বিচ্ছিন্নবাদী ও সামরিক বাহিনীর মধ্যে লড়াই উসকে দিয়ে সে পরিস্থিতি ব্যবহার করে ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের পাঁয়তারা কষছে রাশিয়া। তবে বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছে রাশিয়া। কিন্তু মধ্য ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ইউক্রেনে রুশ সেনাদের অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েন্ডি শারম্যান।