চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমু হত্যার ঘটনায় তার স্বামী সাখাওয়াত আলীম নোবেল ও নোবেলের বন্ধু আব্দুল্লাহ ফরহাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
মঙ্গলবার শুনানি শেষে সন্ধ্যায় ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-২ এর বিচারক রাবেয়া বেগমের আদালত এই রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কেরানীগঞ্জ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) চুন্নু মিয়া আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগমের আদালত প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালতে আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল কবীর বাবুল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়াও, আজ বিকেলে কেরানীগঞ্জ থানায় এ মামলা করা হয়। মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞতা পরিচয় আসামিও করা হয়েছে। মামলাটি করেছেন রাইমা ইসলাম শিমুর বড় ভাই হারুন অর রশিদ।
এদিকে, পারিবারিক কলহের জেরেই চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুকে হত্যা করে তার স্বামী নোবেল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে এ কথা স্বীকার করেছেন তিনি।
স্ত্রীকে খুন করে নিখোঁজের নাটক সাজাতে থানায় করেছিলেন জিডিও। দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার। ব্রিফিংয়ে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার জানান, পারিবারিক কলহের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড। বন্ধুর সহায়তায় গুম করতে কেরাণীগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয় শিমুর মরদেহ।
উল্লেখ্য, গত রবিবার সকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন রাইমা ইসলাম শিমু। ওইদিন রাতেই কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন শিমুর স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল। কলাবাগান থানা পুলিশ জানায়, জিডিতে নোবেল দাবি করেন, ‘গত রবিবার অনুমানিক সকাল ১০টার দিকে কাউকে কিছু না জানিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যান। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত (জিডি করার সময় পর্যন্ত) বাসায় ফেরেনি। তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।’