রিজেন্টকাণ্ড

অভিযোগপত্রে নতুন আসামি স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজি

হ্যাপী মাহমুদ

ডিবিসি নিউজ

সোমবার ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৮:০৬:৩০ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

মামলায় বাদ পড়লেও শেষ পর্যন্ত পার পাচ্ছেন না স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আলোচিত সাবেক মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ।

রিজেন্ট হাসপাতাল কেলেঙ্কারি মামলায় আজাদকে নতুন আসামি করে ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকার পরও করোনার নমুনা পরীক্ষা এবং চিকিৎসার জন্য রিজেন্ট হাসপাতালের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে তাকে অবৈধ বলছে দুদক।  

গত বছরের ২১শে মার্চ রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে করোনা ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ ও চিকিৎসার জন্য চুক্তি হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের। এরপর আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর এক অভিযানে বেরিয়ে আসে করোনার ভুয়া রিপোর্ট দিচ্ছে রিজেন্ট হাসপাতাল। গ্রেপ্তার হন হাসপাতালটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ।

পরে অনুসন্ধানে নামে দুদক। একপর্যায়ে নানা সমালোচনায় পদত্যাগে বাধ্য হন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ। দুই দফা জিজ্ঞাসাবাদ করেও তখন দুদকের মামলায় বাদ দেয়া হয় আজাদকে।  আসামি করা হয় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চার কর্মকর্তাসহ পাঁচজনকে।

প্রায় একবছর ওই মামলার তদন্ত করেন দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। তদন্ত প্রতিবেদনে আজাদকে দায়ী করে বলা হয়, স্বাস্থ্যের মহাপরিচালকের দায়িত্বে থাকার সময় তার হস্তক্ষেপে রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে অধিদপ্তরের চুক্তি হয়। ছয় বছর ধরে রিজেন্ট হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ ছিলনা।

অথচ অবৈধ চুক্তির উপর ভর করে করোনো পরীক্ষা জন্য প্রায় চার হাজার রোগীর কাছ থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা করে নেয় রিজেন্ট হাসপাতাল যেখানে করোনা পরীক্ষার জন্য টাকা নেয়ার কোন চুক্তি ছিল না।

অনুমোদন হওয়া অভিযোগপত্রে নতুন আসামি আজাদ ছাড়াও মামলার পাঁচ আসামিদের মধ্যে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক-বর্তমান চার কর্মকর্তা রয়েছেন।

আসামিদের বিরুদ্ধে করোনার নমুনা পরীক্ষা ও চিকিৎসাবাবদ তিন কোটি ৩৪ লাখ টাকা সরকারি অর্থ আত্মসাতের তথ্য দেয়া হয়েছে। শিগগিরই বিচারিক আদালতে ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিবে দুদক।

আরও পড়ুন