জরুরি ভিত্তিতে সংস্কারের উদ্যোগ না নিলে হাসন রাজার পৈতৃক ভিটেমাটির শেষ চিহ্নটুকু একদিন একেবারেই মুছে যাবে।
হাছন রাজা তার সৃষ্টি ও জীবনদর্শনে বাংলার লোক সাহিত্যের ভাণ্ডারকে করেছেন সমৃদ্ধ। সিলেট অঞ্চলের ভোগবিলাসী এই জমিদার একসময় রূপান্তরিত হন মরমী সাধকে। তার রচিত অসংখ্য গান বিশ্বব্যাপী আলো ছড়ালেও সিলেটে গড়ে ওঠেনি সেগুলো চর্চার প্রাতিষ্ঠানিক কোনো কাঠামো। অযত্নে আর অবহেলায় ম্লান হচ্ছে তার স্মৃতি চিহ্নগুলোও।
'মাটির পিঞ্জিরার মাঝে বন্দী হইয়া রে, কান্দে হাসন রাজার মন মুনিয়ায় রে' কিংবা 'লোকে বলে বলে রে, ঘরবাড়ি ভালানা আমার', 'নেশা লাগিলো রে, বাকা দু'নয়নে নেশা লাগিলো রে'- এমন অসংখ্য মর্মস্পর্শী গানের রচয়িতা দেওয়ান হাছন রাজার পৈত্রিক ভিটা সিলেটের বিশ্বনাথের রামপাশায় ।
মরমী এই সাধকের জীবনের অনেক স্মৃতি বিজড়িত রামপাশা গ্রামে তার পরিবারের বিপুল ভূসম্পত্তি থাকলেও তাঁর স্মৃতি সংরক্ষণে নেই তেমন কোন উদ্যোগ। বছরজুড়ে দেশ-বিদেশের হাছন অনুরাগী, গবেষক দর্শনার্থীরা এলেও ফিরতে হয় হতাশ হয়েই।
বাংলার লোকসাহিত্যের ভাণ্ডারে হাছন রাজার সৃষ্টি ও জীবন দর্শনের স্বতন্ত্র অবস্থান থাকলেও, সিলেট অঞ্চলে তা চর্চার নেই প্রাতিষ্ঠানিক সুযোগ। সিলেট ও সুনামগঞ্জে দুটি হাছন রাজা জাদুঘর স্থাপিত হলেও নেই এগুলোর পরিচর্যা।
এদেশের লোকসংস্কৃতির গৌরময় ঐতিহ্য আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে তাঁর স্মৃতি সংরক্ষণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা প্রয়োজন এমনটাই মত লোক গবেষকদের।