টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে না পেরে নবজাতককে হাসপাতালে রেখে যান বাবা-মা।
কুমিল্লায় অর্থাভাবে হাসপাতালে ফেলে যাওয়া নবজাতকের দায়িত্ব নিয়েছেন পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম। চিকিৎসকরা বলছেন, অপরিণত অবস্থায় জন্ম নেয়ায় শিশুটি এখানো ঝুঁকিমুক্ত নয়।
গেল ৫ই জুলাই জমজ কন্যা সন্তান হয় মিজানুর রহমান ও শিরিন আক্তার দম্পতির। অপরিণত অবস্থায় জন্ম নেয়ায় এক শিশু মারা যায়। অপর সন্তানকে বাঁচাতে ৭ জুলাই নগরীর ঝাউতলা মা ও শিশু স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু চিকিৎসার খরচের পরিমাণ শুনে শিশুটিকে হাসপাতালে রেখে চলে যান বাবা-মা। চারদিন পরে হাসপাতালে গিয়ে শিশুটির মা শিরিন আক্তার জানান, টাকার অভাবে চিকিৎসা দিতে পারছেন না তারা।
এমন সংবাদে রবিবার (১২ জুলাই) এগিয়ে আসেন কুমিল্লা পুলিশ সুপার। শিশুটির চিকিৎসার সব ব্যয় জেলা পুলিশ দেবে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানান কুমিল্লা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম।
শিশুটির বাবা মিজানুর রহমান জানান, চান্দিনায় একটি হোটেল চালাতেন তিনি। করোনায় বিক্রি না হওয়ায় অর্থাভাবে পড়েছেন। সন্তানের চিকিৎসার টাকার ব্যবস্থা করতে গিয়েছিলেন তিনি।
এদিকে, অপরিণত অবস্থায় জন্ম নেয়ায় শিশুটির অবস্থা ঝুঁকিমুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা মা ও শিশু স্পেশালাইজড হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. ইমরান।