জাতীয়, বিশেষ প্রতিবেদন

অর্ধেকেরও কম জনবল দিয়ে চলছে দুদক

আকরাম হোসেন

ডিবিসি নিউজ

শনিবার ১৬ই অক্টোবর ২০২১ ০৭:৫৫:১১ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি দুর্নীতির অনুসন্ধান এবং তদন্ত করছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের মাত্র ২শ' কর্মকর্তা।

ঢাকার বাইরে থেকে প্রতিদিন বিস্তর অভিযোগ আসে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে। জনবল সংকট এবং দেশের ৪৪টি জেলায় কোনো কার্যালয় না থাকায় অভিযোগ সুনির্দিষ্ট হলেও অনুসন্ধানের জন্য আমলে নিতে পারে না দুদক। প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেকেরও কম জনবল দিয়ে চলছে সংস্থাটির কার্যক্রম। অনেক জেলা থেকে সংস্থাটির কার্যক্রমও গুটিয়ে ফেলতে হয়েছে। ফলে প্রান্তিক পর্যায়ের অনেক অভিযোগই আমলে নিতে পারছে না দুদক।

দুর্নীতি দমন ব্যুরো থেকে কমিশন গঠনের আগেও দেশের সব জেলায় তাদের কার্যক্রম ছিল। ২০০৪ সালে দুদক প্রতিষ্ঠার প্রতিষ্ঠার পর ৬৪জেলা থেকে কার্যালয় গুটিয়ে মাত্র ২২ জেলায় সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয় করা হয়।

দুদকের সবশেষ হিসেব অনুযায়ী প্রধান কার্যালয়, ৬টি বিভাগীয় কার্যালয় এবং ২২টি জেলা কার্যালয়ে পরিচালক, উপপরিচালক, সহকারী পরিচালক এবং উপসহকারী পরিচালক রয়েছেন মোট ২৭৩জন। এদের মধ্যে অনুসন্ধান ও তদন্ত কাজ করছেন মাত্র ২০০ কর্মকর্তা। তাদের হাতে সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি  অনুসন্ধান ও তদন্ত। প্রতি কর্মকর্তাকে ২৭টির বেশি অনুসন্ধান এবং তদন্ত কাজ একসাথে করতে হচ্ছে।

দুদক বলছে , প্রথম শ্রেণিসহ চতুর্থ শ্রেণির বিভিন্ন পদে দুদকের মঞ্জুরিকৃত পদ রয়েছে ২ হাজার ১৪৬টি অথচ কর্মরত ১ হাজার ২৬জন। 

দুর্নীতি দমন কমিশন কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান বলেন, আমরা এন্ট্রি লেভেলে যদি লোক নিয়ে থাকি তাহলে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য পদে পদোন্নতির মাধ্যমে যে নিয়োগ বিধিমালা আছে সে অনুযায়ি পদগুলো পূরণ করা সম্ভব। প্রাথমিক শর্ত হচ্ছে নিয়োগের মাধ্যমে পদ পূরণ করা।

দুদক কমিশনার বলছেন, ঢাকার বাইরে জেলা অফিস বাড়ানোসহ জনবল বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে। তিনি বলেন, অফিস করার জন্য যে পরিবেশ লাগে বা তৈরি এবং ভাড়ার জন্য যে কার্যক্রম তা চলছে। আগামী এক মাসের মধ্যে বেশকিছু কর্মকর্তা যোগদান করবে। এতে করে যেসব শূন্যপদ আছে তা কিছুটা পূরণ হবে। আমি মনে করি কিছুদিন পর পরই নিয়োগ দেয়া উচিত।

জনবল সংকট নিরসন হলে কাজের গতি আসবে বলে মনে করেন দুদকের কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন