নৌবাহিনীর সদস্যকে মারধরের সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন না ইরফান সেলিম, এমনটাই দাবি করেছেন সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের পুত্র।
কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর এ মন্তব্য করেন তিনি। এর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান হাজী সেলিম এবং তার পুত্র ইরফান সেলিম।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনের প্রতি নিজেকে শ্রদ্ধাশীল বলে দাবি করে ইরফান জানান, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা। তার বাসায় র্যাবের অভিযানে পাওয়া অস্ত্র এবং মাদকের সাথে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। নৌবাহিনীর সদস্যকে মারধরের ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন না বলে দাবি করেন ইরফান সেলিম।
এর আগে, নৌবাহিনী কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমদ খানকে মারধরের মামলায় বুধবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টায় জামিনের কাগজপত্র দেখিয়ে কারামুক্ত হন ইরফান সেলিম। মামলায় সর্বোচ্চ আদালত তার জামিনের আদেশ বহাল রাখায় মুক্তি পান তিনি।
ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে মোট ৫টি মামলার মধ্যে চকবাজার থানায় করা মাদক ও অস্ত্র মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাকে অব্যাহতির সুপারিশ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। বাসায় মাদক রাখার দায়ে একটি মামলায় এক বছর ও অবৈধ ওয়াকিটকি রাখার দায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিল ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ দুই মামলায় তিনি নির্বাহী আদালতে আপিল করে জামিনে আছেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৫ অক্টোবর নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান মোটরসাইকেলে করে নিউমার্কেট থেকে বাসার দিকে যাচ্ছিলেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইরফান সেলিমের গাড়িটি তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এরপর তিনি মোটরসাইকেল নিয়ে ওই গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন। তখন ইরফানের সঙ্গে থাকা অন্যরা গাড়ি থেকে বের হয়ে তাকে কিল-ঘুষি মারেন এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন। এ সময় তার স্ত্রীকেও গালাগাল করা হয়। এ ঘটনায় ২৬ অক্টোবর সকালে ইরফান সেলিম, তার দেহরক্ষী মো. জাহিদুল মোল্লা, এ বি সিদ্দিক দিপু ও গাড়িচালক মিজানুর রহমান এবং অজ্ঞাতনামা দুই-তিনজনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।