মাদক-অস্ত্র চোরাচালান, জমি দখল ও হোটেলে নারীদের দিয়ে যৌন বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগে গ্রেপ্তার যুব মহিলা লীগ নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার সঙ্গে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের ‘সম্পর্ক’ ছিল বলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
জাল মুদ্রা উদ্ধারের ঘটনায় পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান সুমন ওরফে সুমন চৌধুরীসহ চারজনের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছিল।
সোমবার আদালতের আদেশের পর এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিমানবন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কায়কোবাদ কাজী পাপিয়াসহ আসামিদের এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তবে বুধবার বিকালেই মামলার তদন্ত ভার গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
একদিনের জিজ্ঞাসাবাদে পাপিয়ার কাছ থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন বলে জানান কায়কোবাদ কাজী। তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে পাপিয়া জানিয়েছেন, যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি নাজমা আকতার ও সাধারণ সম্পাদক অপু উকিলের সাথে তার সম্পর্ক ভালো। এছাড়া আওয়ামী লীগের কিছু শীর্ষ নেতার সাথেও তার সম্পর্ক ছিল।
তবে এই সম্পর্ক সাংগঠনিক নাকি একান্তই ব্যক্তিগত পর্যায়ের, সে বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না।
আওয়ামী লীগের কোন কোন নেতার সঙ্গে পাপিয়ার সম্পর্ক ছিল তা প্রকাশ করেননি এই পুলিশ কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, পাপিয়া অত্যন্ত চতুর। তার কাছ থেকে কথা বের করা খুবই জটিল। অনেক কিছুই এড়িয়ে যেতে চায়। কিছু কিছু কথার আবার মিল পাওয়া যায় না।