অর্থনীতি, জেলার সংবাদ, বিশেষ প্রতিবেদন

আখাউড়া স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানির গতি বাড়ায় বাড়ছে রাজস্ব

আকরাম হোসেন

ডিবিসি নিউজ

রবিবার ১৭ই অক্টোবর ২০২১ ০৯:৫৮:০০ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

করোনার প্রাদুর্ভাব কমে আসায় সচল হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর। গতি বেড়েছে আমদানি-রপ্তানিতেও।

সম্প্রতি এই বন্দর দিয়ে চাল, গম ও পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ায় বেড়েছে রাজস্ব আয়। এ অবস্থায় সব ধরনের বৈধ পণ্য আমদানি করার অনুমতি চেয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

সেভেনসিস্টার খ্যাত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রবেশদ্বার ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা দিয়ে যাত্রী পারাপার ও আমদানি-রপ্তানির জন্য ১৯৯৪ সালে চালু হয় আখাউড়া স্থলবন্দর। ২০১০ সালে আখাউড়াকে পূর্ণাঙ্গ বন্দরে রূপান্তর করা হয়। তবে রপ্তানিমুখী বন্দর হলেও গেল সেপ্টেম্বর থেকে পেঁয়াজ, গম, চাল, আদাসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি শুরু হয়।

করোনায় কার্যক্রম কিছুটা থমকে গেলেও সেপ্টেম্বর মাস থেকে পুরোদমে শুরু হয়েছে আমদানি-রপ্তানি। শুধু সেপ্টেম্বরেই রপ্তানি হয়েছে সাড়ে ৬৮ কোটি টাকারও বেশি মাছ ও রডসহ বিভিন্ন পণ্য। আমদানি হয়েছে প্রায় ৪৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকার পণ্য।  

এ অবস্থায় বন্দরটি দিয়ে সব ধরনের বৈধ পণ্য আমদানির অনুমতি চান ব্যবসায়ীরা। 

আখাউড়া স্থলবন্দর সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হাজী মোবারক হোসেন ভূঁইয়া বলেন, খোলার পর থেকে দেড় মাসে এই বন্দর থেকে সরকার প্রায় ৫ থেকে ৭ কোটি টাকা। যদি আমাদেরকে সকল ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানির অনুমতি দেয়া হয় তাহলে এই বন্দর থেকে সরকারের প্রায় শত কোটি টাকার মত রাজস্ব আয় করা সম্ভব।

আমদানি বাড়ায় রাজস্বের পাশাপাশি বেড়েছে কর্মসংস্থানও। আখাউড়া স্থলবন্দর কৃর্তপক্ষের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের এই বন্দরে আমদানি-রপ্তানি দুটোই বেড়েছে। এর ফলে স্থানীয়দের কর্মসংস্থানেরও একটা বড় জায়গা তৈরি হয়েছে। বন্দরের রাজস্বও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

স্থলবন্দরটির রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ব্যবসায়ীরা যদি সকল ধরনের পণ্য আমদানির সুযোগ পায় তাহলে বন্দরের রাজস্ব অনেকগুন বাড়বে। এছাড়া বন্দরের সুযোগ-সুবিধা বাড়ালে সরকারের পাশাপাশি ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরাও লাভবান হবে বলে মনে করেন তিনি।

আরও পড়ুন