জাতীয়, প্রবাস

আজ আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস

আকরাম হোসেন

ডিবিসি নিউজ

শনিবার ১৮ই ডিসেম্বর ২০২১ ০৭:৪৫:০০ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস আজ। প্রতিবছর ১৮ই ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী পালন করা হয় দিবসটি। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ দিবসটি উপলক্ষে নেয়া হয়েছে নানা কর্মসূচী।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রতি বছরের মতো এবারও আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উদযাপিত হচ্ছে।

শতবর্ষে জাতির পিতা সুবর্ণে স্বাধীনতা, অভিবাসনে আনবো মর্যাদা ও নৈতিকতা-প্রতিপাদ্যে দিবসের মূল ও জাতীয় অনুষ্ঠান আজ সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, অভিবাসী শ্রমিকরা যেন কোন ধরনের শোষণ, বঞ্চনা ও হয়রানির শিকার না হয় তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসরত অভিবাসী বাংলাদেশীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, শ্রম-অভিবাসন বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। আমাদের অভিবাসী কর্মীরা দেশের জন্য আয় করছেন বৈদেশিক মুদ্রা বা রেমিটেন্স, অবদান রাখছেন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে। অবকাঠামো উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে তারা দেশের সুনাম বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিচ্ছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বানীতে বলেন, বৈশ্বিক শ্রম বাজারে কোভিড-১৯ এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ায় অনেক অভিবাসী ইতোমধ্যে দেশে প্রত্যাবর্তন করেছেন। আমরা তাদের জন্য স্বল্প সুদে ও সহজ শর্তে ঋণ এবং পুনর্বাসন কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। এ পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ প্রবাসী কর্মীকে বিশেষ ব্যবস্থাায় -সুরক্ষা- এ্যাপসের আওতায় এনে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে উলেখ করে তিনি বলেন-টেকসই উন্নয়নের মূলকথা কেউ পিছিয়ে থাকবে না-বাস্তবায়নে আমরা সবাইকে নিয়ে একযোগে কাজ করে যাচ্ছি।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ২০০০ সালের ৪ ডিসেম্বর এ দিনটিকে বিশ্বব্যাপী উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। মূলত বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ব্যাপক হারে অভিবাসন ও বিপুলসংখ্যক অভিবাসীর স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি ঘিরেই এ দিবসের উৎপত্তি। ১৯৯০ সালের ১৮ ডিসেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ অভিবাসী শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা এবং তাদের পরিবারের ন্যায্য অধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক চুক্তি ৪৫/১৫৮ প্রস্তাব আকারে গ্রহণ করে।

সংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বের ষষ্ঠ সর্বোচ্চ স্থানে থাকা বাংলাদেশের অভিবাসীরা দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের অষ্টম সর্বোচ্চ রেমিটেন্স গ্রহণকারী দেশ। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত অভিবাসীরা ২৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি রেমিটেন্স পাঠিয়েছে-যা এদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন বড় ভূমিকা রেখেছে। 

আরও পড়ুন