আন্তর্জাতিক, বিনোদন, সংস্কৃতি

আজ মিশরের ঘরে ঘরে ’সুঘ্রাণ উৎসব’

সামান্তা সাইদ খান

ডিবিসি নিউজ

সোমবার ২৫শে এপ্রিল ২০২২ ০২:৩২:০৩ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

হাজার বছরের লালিত ঐতিহ্য ঋতুরাজ ‘শাম এল-ন্যেসিম’ (বাতাসে সুঘ্রাণ) উৎসব এসে হানা দিল মিশরের ঘরে ঘরে।

প্রাচীন মিশরীয়রা খ্রিস্টপূর্ব ২৭০০ থেকে এ দিনে ‘শাম-এল-ন্যেসিম’ উৎসব করে আসছে। রাজধানী কায়রোয় অবস্থিত গিজা’র দ্য গ্রেট পিরামিডের সঙ্গে সূর্য কিরণের পরিমাপ করে প্রতি বছর দিনটির সঠিক তারিখ নির্ধারণ হয়। যা সাধারণত কপটিক অর্থোডক্সদের ইস্টার সানডের পর দিন সোমবার হয়ে থাকে।

 আজকের দিন ও রাতের দৈর্ঘ্য সমান। উৎসবটি প্রাচীন মিশরীয়দের কৃষিক্ষেত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত। ‘শাম এল-ন্যেসিম’ নামটি প্রাচীন মিশরীয় ভাষা আফ্রাশিয়ান থেকে উদ্ভূত হয়ে কপটিক ভাষা থেকে এসেছে।

যার মূল উচ্চারণটি হলো ‘তশোম-নি-তশম’। অর্থাৎ উদ্যানের চারণভূমি। এটি প্রতি বছর এপ্রিল মাসের শেষ সোমবার উদযাপন করা হয়ে থাকে। এই উৎসবের কোনও ধর্মীয় পটভূমি নেই। শাম এল-ন্যেসিম সাধারণত বসন্তের সূচনা করে ইস্টার সানডের পরে আসে।

এদিনে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে মিশরীয় পরিবারগুলো ফেশিখ/রিংগা মাছ ‘অনেকটা আমাদের লোনা ইলিশ মাছের মতো’ পেঁয়াজ পাতা, লেটুস ও সিদ্ধ ডিম নিয়ে নীল নদের পাড়, চিড়িয়াখানা কিংবা বিভিন্ন উদ্যানে চলে যায়।

বাচ্চারা সিদ্ধ ডিমের ওপরে রঙিন অংকন করে থাকে এদিনে। পরে তা ভেঙে খায়। উদ্যানগুলোতে দিনব্যাপী খেলাধুলা, আড্ডা ও সঙ্গে নেওয়া শাম-এল-ন্যেসিমের ঐতিহ্যবাহী খাবার ‘লবণাক্ত মাছ’ পেঁয়াজ পাতা, লেটুস ও সিদ্ধ ডিম খেয়ে ঘরে ফিরে সন্ধ্যার পর।

ইসলাম ও খৃষ্টান ধর্মে বিশ্বাসী নির্বিশেষে সবাই উৎসবটি এক সঙ্গে উদযাপন করে। রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় এ বছর দিনের বেলা খোলা আকাশের নিচে শাম-এল-ন্যেসিম উদযাপন ও আহার করতে দেখা যায়নি গোটা মিশরে। এদিন সরকারি ছুটি থাকে।


আরও পড়ুন