নাইকো দুর্নীতি মামলায় আপাতত স্বশরীরে আদালতে যেতে হবে না বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে। তার পক্ষে আদালতে হাজিরা দেবেন আইনজীবীরা।
মঙ্গলবার দুপুরে, কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে এ আদেশ দেন। এই মামলায় খালেদা জিয়াসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আংশিক অভিযোগ গঠনের শুনানি হয়েছে। ১৮ই মার্চ হবে পরবর্তী শুনানি।
কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালে এই মামলা করে দুদক। এতে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়। ২০১৮ সালের ৫ই মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এতে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
এই মামলার বিচারকাজ পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী এজলাসে চলত। পরে নিম্ন আদালতে বিচারাধীন খালেদা জিয়ার মামলাগুলোর বিচার কেরানীগঞ্জের কারাভবনের অস্থায়ী এজলাসে স্থানান্তরের আদেশ দেয় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
দুর্নীতির দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ১০ ও সাত বছরের কারাদণ্ড হয়েছে।
দেশে কেরানাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর পরিবারের আবেদনে সরকার গত ২৫ মার্চ ‘মানবিক বিবেচনায়’ শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য সাজা স্থগিত করে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। পরে আরও ছয় মাসের জন্য তা বাড়ানো হয়।
তখন থেকে গুলশানে নিজের ভাড়া বাসা ফিরোজায় থেকে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৭৫ বছর বয়সী খালেদা।