আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলের একশ দিন পূর্ণ করল তালেবান। এই একশ দিনে দেশটির পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে। মৌলিক চাহিদা, নিরাপত্তাসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই সংকট দেখা দিয়েছে। নাগরিকরা বলছেন, বেঁচে থাকতে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হচ্ছে তাদের।
আন্তর্জাতিক সহায়তা নির্ভর দেশ আফগানিস্তানে এমনিতেই সংকটের শেষ নেই। বছরের পর বছর ধরে যুদ্ধ আর সংঘাত সাধারণ আফগানদের জীবন করে তুলেছে দুর্বিষহ।
কট্টর তালেবান ক্ষমতায় আসার পরপরই আন্তর্জাতিক সব ধরনের সহায়তা বন্ধ হয়ে যায়। জব্দ করা হয় বিদেশে থাকা আফগানিস্তানের তহবিল। আগের চেয়ে জীবনযাত্রা হয়ে পড়েছে আরো বিপন্ন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্যসহ মৌলিক চাহিদার প্রতিটি ক্ষেত্রই ভেঙে পড়ার মুখে।
কাবুলের বাসিন্দারা বলছেন, মৌলিক চাহিদা মেটাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদেরকে। সামনে অনিশ্চিত ভবিষ্যত।
এক আফগান নাগরিক বলেন, আমরা আমাদের বেতন-ভাতা কিছুই পাচ্ছি না। নিরাপত্তার অবস্থা ভয়াবহ। যে কোন সময় যে কোনও জায়গায় বোমা হামলা হতে পারে। বেঁচে থাকাই এখন কঠিন হয়ে পড়েছে।
আবার কেউ বলছেন, সংকটময় সময়ে সব জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সমন্বয় পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে পারে।
দেশটির এক নারী জানান, তালেবানের উচিত সবার সমান অধিকার নিশ্চিত করা। কে হাজারা, কে পশতুন আর কে তাজিক তা দেখার সময় এখন নয়। সরকারে সবার অংশগ্রহণ থাকলে ভবিষ্যতের জন্যই তা মঙ্গলজনক। কারণ দিনদিন পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে।
তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকেই জাতিসংঘ সতর্ক করে আসছে, ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ে পড়তে যাচ্ছে দেশটির মানুষ। নিজ ভূমি ত্যাগ করে শরণার্থীর সংখ্যাও বাড়বে আশঙ্কাজনক হারে।