আন্তর্জাতিক, এশিয়া

আর্থিক সহায়তার অভাবে চরম বিপর্যয়ে আফগানদের জীবন

ডিবিসি নিউজ ডেস্ক

ডিবিসি নিউজ

বুধবার ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৭:৩৭:২৪ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

তালেবান সরকার গঠনের পর ধস নেমেছে আফগানিস্তানের অর্থনীতিতে । অর্থ সংকট ও বেকারত্ব চরমভাবে বেড়ে যাওয়ায় দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে আফগানদের জীবন ও জীবিকা। বিদেশি সহায়তা আসলেও তা চাহিদার তুলনায় কম। সরকার গঠনের পর বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তার আহ্বান করছে তালেবান।

ভয়ানক অর্থ সংকটের মধ্যে দিন পার করছেন আফগানরা। রয়েছে অর্থ ও খাদ্য সংকট,কাজ হারিয়ে অনেকেই দিশেহারা। সামনের দিনগুলোতে টিকে থাকতে সম্পদ বিক্রি করছেন অনেকেই।মাসের পর মাস বেতন না পেয়ে  বিপাকে পড়েছেন চাকরিজীবীরা।

আয় রোজগারের জন্য নিজের গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন এমন ঘটনাও রয়েছে। কাজের সন্ধানে প্রতিদিনই কাবুলের রাস্তায় অপেক্ষা করছেন নির্মাণ শ্রমিকরা। 

বড় বাজেটের নির্মাণ প্রকল্পগুলো ও ব্যাংক রয়েছে বন্ধ। বিদেশি আর্থিক সহায়তাও বন্ধ থাকায় অর্থ সংকট সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েঁছে দেশটিতে। আর যা মজুদ আছে তা খুবই সামান্য।

তালেবানদের হাত থেকে রক্ষা করতে আফগানদের আর্থিক সহায়তায় সেন্ট্রাল ব্যাংকে জমা থাকা অন্তত ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আটকে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র । অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফেরাতে আটকে রাখা অর্থ ফেরত দেয়ার দাবি জানাচ্ছে আফগানরা।

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি-ডব্লিউ এফপি বলছে বর্তমানের আফগানিস্তানের ৯৩ শতাংশ মানুষ পর্যাপ্ত খাবার পাচ্ছে না। তালেবান ক্ষমতা দখলের আগে যা ছিল ৮০ শতাংশ।

তালেবানের মতো কট্টরপন্থি জঙ্গিগোষ্ঠী দেশটির সরকারে থাকায় ইউরোপীয় ও পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলো আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে না। বিভিন্ন দেশের কাছে আর্থিক সহায়তার আহ্বান জানিয়ে তালেবান নেতারা বলছেন, প্রাপ্ত অর্থ কোন ব্যক্তির পকেটে নয় ব্যবহার হবে জনকল্যানে। 
তালেবানের সাংস্কৃতিক কমিশনের ডেপুটি হেড আহমাদুল্লাহ ওয়াসিক বলেন,'দেশে আর্থিক সহায়তা নিশ্চিতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। যে অর্থ আসবে তা দেশ পুনর্গঠন ও জনগণের জীবনে স্বরচ্ছলতা আনতে ব্যবহৃত হবে। আগের সরকারের মতো সহায়তার অর্থ আত্মসাৎ করবে না তালেবান।'

দেশটি অর্থনৈতিক ধস কাটাতে উ্ন্নত দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেস। দ্রুত সমস্যার সমাধানে ১২০ কোটি ডলার আর্থিক সহায়তার তাগিদ  দিয়েছে সংস্থাটি।

আরও পড়ুন