ইউরো ফুটবলের এবারের আসরের অন্যতম সেরা আকর্ষণীয় ম্যাচ রাতে। মুখোমুখি হবে বিশ্ব ফুটবলের সেরা দুই দল ফ্রান্স ও জার্মানী।
আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচ শুরু রাত একটায়। এর আগে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল লড়বে হাঙ্গেরির বিপক্ষে। ম্যাচটি শুরু হবে রাত দশটায়।
কোন সন্দেহ নেই। এমবাপ্পে-গ্রিজম্যান-পগবাদের ফ্রান্স টুর্নামেন্টের হট ফেভারিট। দেশমের কোচিংয়ে গেলবার ইউরো ফাইনালে হারের জ্বালা ওরা জুড়িয়েছে বিশ্বকাপের দখল নিয়ে। এবার যোগ হয়েছেন বেনজেমাও। ফরাসীদের আর ঠেকায় কে?
ফ্রেঞ্চদের রোখার সামর্থ্যে সবচেয়ে এগিয়ে ২০১৪ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন জার্মানি। ওজিল-শোয়াইনস্টাইগাররা নাই তাতে কি? ক্রুস-মুলার-হামেলসরা তো আছেনই। সাথে যোগ হয়েছে ভের্নার-হাভার্টজদের মত একগাদা তরুণ তুর্কি। দায়িত্ব ছাড়ার আগে শেষটা রাঙাতেই চাইবেন হোয়াকিম লো।
সেই যাত্রা পথে প্রথম বাধাই সবচেয়ে বড় ফ্রান্স। ওদের সাথে শেষ পাঁচ দেখায় জয়হীন নয়্যারের দল। ফ্রেঞ্চদের অ্যাটাক থামাতে তিন সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার খেলাবেন লো। হুমেলস, রুডিগারের সাথে থাকবেন জিনটার। মিডফিল্ডের ভরসা কিমিচ, ক্রুস আর গুন্ডোয়ান। গোরেতজকার ইনজুরি থাকায় খেলতে পারেন গোসেনস বা চ্যানের একজন। ফ্রন্টলাইনে মুলার, জিনব্রি নিশ্চিত। দুই চেলসি তারকা হাভার্টজ বা ভের্নারের যে কোন একজন থাকবেন স্টার্টিং লাইনআপে।
ফ্রান্স দল তারকায় এতটাই ভরপুর যে ওদের বেঞ্চের খেলোয়াড়রাও চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে যে কোন মূল দলকে। গোলবারে ক্যাপ্টেন লরিস। ডিফেন্সে ভারান-কিমপেম্বের সাথে দুই উইং ব্যাক পাভার্ড আর হার্নান্দেজ। মাঝমাঠের ইঞ্জিন রুম এনগোলো কান্তে। থাকবেন পগবাও। ফ্রন্টলাইনে গ্রিজম্যান-এমবাপ্পে আর জিরুকে নিয়েই বিশ্বকাপে সফল ফ্রান্স। তবে, বেনজেমা ফিরছেন নিশ্চিত। সেক্ষেত্রে বেঞ্চে জায়গা হবে জিরুর।