ব্যাটিং বিপর্যয়ে ১ম দিনই চাপে টাইগাররা।
ইন্দোর টেস্টের প্রথম দিনই ব্যাক-ফুটে বাংলাদেশ। টস জিতে টাইগারদের ব্যাট নেয়ার সিদ্ধান্তের ফায়দা নিয়েছে ভারত। ফিল্ডিংয়ে ভারতের বাজে দিনের পরও দারুণ বোলিং আর টাইগার ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বহীন ব্যাটিংয়ে দেড়শ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে মুমিনুল হকরা টিকেছে মোটে ৫৮ দশমিত ৩ ওভার। জবাবে ১ উইকেটে ৮৬ রানে দিন পার করেছে টিম ইন্ডিয়া। হাতে ৯ উইকেট নিয়ে পিছিয়ে আছে মাত্র ৬৪ রানে।
হলকারের উইকেটে সবুজ ঘাস, কোয়ালিটি পেস অ্যাটাকের বিপক্ষে টাগারদের পুরনো রোগ। উমেশ ইয়াদব আর ইশান্ত শর্মার সিমে নাকাল ইমরুল কায়েস আর সাদমান ইসলাম। ১২ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে শুরুতেই বিপাকে বাংলাদেশ। মুমিনুল আর মিঠুনের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর রাস্তা খুঁজছিলো টিম টাইগার্স। তবে মোহাম্মদ শামিকে সামলাতে পারেননি মিঠুন।
মুমিনুল আর মুশফিকের ৬৮ রানের পার্টনারশিপ টাইগার ইনিংসের সেরা। ক্যাপ্টেনসির অভিষেকে এক দফা জীবন পেয়েও ৩৭ রানের বেশি করতে পারেননি মুমিনুল। আশুইনের স্লাইডারে বোকা বনেছেন টাইগার টেস্ট ক্যাপ্টেন। এরপর আর কোন পার্টনারশিপ গড়তে পারেনি বাংলাদেশ। সফরকারীরা নিজেদের সবশেষ ৭ উইকেট হারায় ৫১ রানে।
পেস কি স্পিন? উইকেটে এসে খাবি খেয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সাত রানের মাথায় একবার জীবন পেয়েও সেটা কাজে লাগাতে পারেননি দলের এই সিনিয়র ব্যাটসম্যান।
তিনবার জীবন পেয়ে এক প্রান্তে জমে গিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। লিটনকে সাথে নিয়ে দ্বিতীয় সেশনটা কাটিয়ে দেয়ার আশা জাগায় বাংলাদেশ। কিন্তু টিম টাইগার্সকে এলোমেলো করে দেন শামি। মুশফিকের আর মিরাজ। মোহাম্মদ শামির জোড়া শিকার। দ্বিতীয় সেশনে চার উইকেট হাতায় টিম টাইগার্স। প্রথম সেশনে ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশ দ্বিতীয় সেশনে হারায় চার উইকেট।
তৃতীয় সেশনে সফরকারীদের ইনিংস টিকেছে ৪.৩ ওভার।১০ রানে শেষ পাঁচ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের প্রথম ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ১৫০ রানে ফুরিয়েছে বাংলাদেশ।
জবাব দিতে নেমে রোহিত শর্মাকে দ্রুত হারানোর ধাক্কা অনায়াসেই সামলে নিয়েছে ভারত। মায়াঙ্ক আগারওয়াল আর চেতেশ্বর পুজারার দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে অন বিটেন ফিফটি প্লাস পার্টারশিপ। টাইগারদের দিশাহীন বোলিংয়ে আগারওয়ালের চেয়ে বেশি হাত খুলেছেন পূজারা।