আর্সেনাল ঘরের মাঠে নিউক্যাসেলকে উড়িয়েছে ৪-০ গোলে। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে তিন মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করেন পিয়েরে-এমেরিক আউবামেয়াং ও নিকোলাস পেপে। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে মেসুত ওজিল লক্ষ্যভেদের পর যোগ করা সময়ে জাল খুঁজে নেন আলেকসঁদ লাকাজেত।
লিগে ১০ ম্যাচে ছয়টিতে ড্র করেছে আর্সেনাল। তবে চলতি আসরে এ নিয়ে জয় হলো মোট সাতটি। ২৬ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দশে আছে তারা।
যদিও এই ম্যাচের ৫০ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত স্বাগতিকরা। কিন্তু ইংলিশ ফরোয়ার্ড এডির শট ফেরে ক্রসবারে লেগে। মিনিট চারেক পর পেপের ক্রসে দারুণ এক হেডে দলকে এগিয়ে নেন আউবামেয়াং। চলতি আসরে গ্যাবনের এই ফরোয়ার্ডের এটি পঞ্চদশ গোল।
৫৭তম মিনিটে বুকায়ো সাকার নৈপুণ্যে ব্যবধান বাড়ায় আর্সেনাল। প্রতিপক্ষের দুই খেলোয়াড়কে কাটিয়ে দারুণ এক পাস বাড়ান ইংলিশ এই উইঙ্গার। ফিনিশিংয়ে ভুল করেননি পেপে। ৯০ মিনিটে দলীয় আক্রমণে খুব কাছ থেকে গোল করেন ওজিল। বাড়তি সময়ের পঞ্চম মিনিটে লাকাজেত ব্যবধান আরো বাড়িয়ে দেন।
আরেক ম্যাচে অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে কষ্টের জয় টটেনহ্যামের। ভিলা পার্কে হোস্টদের ওরা হারিয়েছে ৩-২ গোলে।
অ্যাস্টন ভিলার মাঠে ওদের প্রথম গোলটা উপহার দেয় টটেনহ্যাম। আত্মঘাতি গোল করে স্বাগতিকদের আনন্দে ভাসান টোবি। অবশ্য দলকে সমতায়ও ফেরান এই বেলজিয়ান তারকাই। ২৭ মিনিটে টটেনহ্যামের হয়ে স্কোরশিটে নাম তোলেন তিনি। ফাস্ট হাফ শেষ হবার আগে ইনজুরি টাইমে সন হিয়ুং মিনের গোলে ২-১ এ এগিয়ে বিরতীতে যায় টটেনহ্যাম।
সেকেন্ড হাফে আবারো ম্যাচে সমতা ফেরায় অ্যাস্টন ভিলা। এবার গোল করেন বিজর্ন ইনগেলস। ড্রতেই শেষ হচ্ছিল ম্যাচ। কিন্তু একেবারে শেষ সময়ে আবারো টটেনহ্যামের হয়ে গোল করেন হিয়ুং মিন। যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে কোরিয়ান তারকার গোলে পূর্ণ পয়েন্ট পায় টটেনহ্যাম।