কুমিল্লা নগরীর সংরাইশে এক নারীকে ইভটিজিং করার প্রতিবাদে প্রতিপক্ষের হামলায় আবদুল মতিন (৬০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু।
কুমিল্লায় ইভটিজিং এ ভাতিজার বাধা প্রতিপক্ষের হামলায় চাচার মৃত্যু
আহত অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে সোমবার সকালে তার মৃত্যু হয়। নিহত আবদুল মতিন ওই এলাকার মৃত মনা মিয়ার ছেলে। তিনি কুমিল্লার চকবাজারে চালের আড়তের ব্যবসায়ী ছিলেন।
এর আগে, রবিবার সন্ধ্যায় নগরীর সংরাইশ শিশু উদ্যান এলাকায় ইভটিজিং সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় মতিনের ছেলে এবং ভাতিজাসহ দুইপক্ষের ৪/৫ ব্যক্তি আহত হয়েছে।
স্থানী বাসিন্দা জানান, আলামিন নামে এক ব্যক্তির নেতৃত্বে এই হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আলামিন সংরাইশ এলাকার ইদু মিয়ার ছেলে।
কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ওসি আনারুল হক জানান, হামলার পর আহত অবস্থায় আবদুল মতিনকে ঢাকার একটি হাসপাতালে নেয়া হলে সকালে তার মৃত্যু হয়। লাশ বর্তমানে ঢাকায় আছে। হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে হৃদয় (২৫) নামে এক তরুণকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হামলার শিকার ব্যক্তিদের অভিযোগ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এখনও থানায় কোন অভিযোগ হয়নি।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ১৬ নং ওয়ার্ডের স্থানীয় কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম বাবুল জানান, নারী সংক্রান্ত বিষয়ে প্রথমে নিহত মতিনের ভাতিজা অভিযুক্ত আলামিনের বন্ধুকে বাধা দেয়। বাধা দেওয়া ঘটনার সূত্র ধরে আলামিন ও তার সহযোগিরা মতিনের বাড়িতে হামলা ও মারধর করে। হামলায় মতিন, তার ছেলে এবং ভাতিজা আহত হয়।