উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি ছাড়াই শেষ হলো ফিলিস্তিন ইস্যুতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক। এতে ইসরায়েলকে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত করেছে ফিলিস্তিন।
আর জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতকে উদ্বেগজনক আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে দুই পক্ষকে হামলা বন্ধের আহ্বান জানান। আরো বলেন, একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে জাতিসংঘ কাজ করছে। রবিবার ইসরায়েলি হামলায় আরো ৪২ জনসহ এখন পর্যন্ত মারা গেছে ১৯৭ জন ফিলিস্তিনি।
ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধে রবিবার বৈঠকে বসে বিশ্ব পরাশক্তিগুলো। নিরাপত্তা পরিষদের ভার্চুয়াল এই বৈঠক অবশ্য কোন ইতিবাচক ফলাফল ছাড়াই শেষ হয়েছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস তার উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, যেকোন মূল্যে অযথা রক্তপাত ও সংঘাত বন্ধ করা প্রয়োজন। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন,ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত ভীষণ উদ্বেগজনক। অবিলম্বে এই সংঘাত বন্ধ করতে হবে। যুদ্ধবিরতির জন্য সব পক্ষের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে জাতিসংঘ। সংলাপ ও আলোচনার মধ্য দিয়েই কেবল দ্বি-রাষ্ট্র নীতির লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব । যেখানে শান্তিপূর্ণ সহাবস্তান করতে পারবে সবাই।'
জরুরি অধিবেশনে ইসরায়েলকে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত করেছেন ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল-মালকি। ফিলিস্তিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল-মালকি জানান,'দখলদার ও ঔপনিবেশিক শক্তি ইসরাইল রীতিমত যুদ্ধাপরাধ করছে ।আপনারা না বললেও ফিলিস্তিনে যে মানবতাবিরোধী হচ্ছে, তা মিথ্যে হয়ে যায় না । ইসরাইল হচ্ছে সেই প্রতিবেশী, যে আমাদের বাড়িতে ঢুকে সন্ত্রাস চালাচ্ছে ।'
অবিলম্বে গাজায় ইসরায়েলের হামলা বন্ধের আহবান জানিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি চীন। দ্বি-রাষ্ট্র তত্ত্বের ভিত্তিতে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পক্ষে অধিবেশনে মত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘে মার্কিন দূত লিন্ড থমাস গ্রিনফিল্ড বলেন,'ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন উভয় দেশ যদি অস্ত্রবিরতি চায় তবে যুক্তরাষ্ট্র তাদের পাশে থাকবে। নারী-শিশুসহ অন্যান্য বেসামরিকদের জীবন রক্ষায় সব পক্ষকেই বিশ্বাস ও আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে।'
গাজা উপত্যকায় শান্তি ফেরাতে বৈশ্বিক নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রগুলোর এই জরুরি বৈঠক সত্যিকার অর্থেই কোন ভূমিকা রাখবে কিনা সেটাই এখন এখন প্রশ্ন। নাকি বরাবরের মতোই আশ্বাস আর প্রতিশ্রুতিতে সীমাবদ্ধ থাকবে শান্তি প্রচেষ্টা, সেটাও ভাবনার বিষয় ।