মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশটির বিরুদ্ধে নজিরবিহীন ও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে। এমনকি প্রাণঘাতী করোনার প্রাদুর্ভাব সত্বেও তারা ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে বলে জানিয়ে দিয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও পুরানো অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে ইরানকে তার আচরণে পরিবর্তন আনার দাবি জানিয়ে বলেছেন, দেশটির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকবে। একইসঙ্গে ইরানের জনগণকেও তাদের সরকার ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো দাবি করেন, ওয়াশিংটন ইরানের পরমাণু কর্মসূচি রোধে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর তেহরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সমাজের চাপ উপেক্ষা করে ওয়াশিংটন উল্টো ইরানের সরকার ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার দাবি জানাচ্ছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু ইরানের আচরণে পরিবর্তন আনার দাবি জানিয়েই ক্ষান্ত হননি একইসঙ্গে তিনি জনগণের মাধ্যমে দেশটির শাসন ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনারও আহ্বান জানিয়েছেন।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ট্রাম্প সরকারের এ আচরণ আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং ইরানের ইসলামি সরকার ব্যবস্থাকে উৎখাতের জন্য তার এসব বক্তব্য একটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ। একদিকে ইরানের জনগণকে সহযোগিতা করার দাবি করছেন অন্যদিকে নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছেন যার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ইরানের জনগণ।
এর আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করতেন ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলেও মানবিক বিষয় বিবেচনা করা হবে। কিন্তু বাস্তবে তিনি মানবিক বিষয় বিবেচনা করছেন না। এর বড় প্রমাণ হচ্ছে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সত্বেও এবং আন্তর্জাতিক সমাজের অনুরোধের পরও তিনি ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। অথচ মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ইরান হিমশিম খাচ্ছে।
সূত্র: পার্সটুডে