জেলার সংবাদ, স্বাস্থ্য

একজন চিকিৎসক দিয়ে চলছে রংপুর মেডিক্যালের বার্ন ইউনিট!

Kamrul Islam Rubel

ডিবিসি নিউজ

বৃহঃস্পতিবার ২৩শে জানুয়ারী ২০২০ ০৯:৪৫:১৩ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট একজন চিকিৎসক দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে।

দেশের উত্তরাঞ্চলের আগুনে পোড়া রোগীদের একমাত্র ভরসা রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ। কিন্তু মাত্র একজন চিকিৎসক দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে এর কার্যক্রম। প্রয়োজনের বিপরীতে জনবল রয়েছে মাত্র ৩০ শতাংশ। পাশাপাশি রয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাও।

২০১৩ সালের জুলাইয়ে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চালু করা হয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ। বিশেষায়িত এই বিভাগটি উত্তরাঞ্চলের দগ্ধ রোগীদের একমাত্র ভরসা। এখানে প্রতিদিন গড়ে চল্লিশ জন রোগী চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। বিশেষ করে শীতে উত্তরাঞ্চলে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ প্রচুর রোগী চিকিৎসা নেন।

কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা আর প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় সংকটে বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ। বেশিরভাগ সময়ই বিকল থাকে এসি, এমনকি চলে না ফ্যানও। বিভাগটিতে ৯ জন চিকিৎসকের জায়গায় আছেন মাত্র একজন। আর ২০ নার্স পদের বিপরীতে আছে ১০ জন। এছাড়া আয়া এবং সিকিউরিটি গার্ডের পদও ফাঁকা।

ওয়ার্ড বয় জানান তারা মাত্র তিনজন আছেন, পর্যায়ক্রমে তারাই দায়িত্ব পালন করছেন। আর নার্সরা জানান, দু-তিনজন এতগুলো রোগীকে দেখাশোনা করাটা কঠিন হয়ে পড়েছে।

রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির বিভাগীর প্রধান ডা: এম এ হামিদ পলাশ বলেন, 'যে সংকট আছে সেগুলো পূরণ না হওয়াতে চিকিৎসা প্রদানে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায় ৪০ জন রোগীর বিপরীতে চিকিৎসক একজন। এ সময়, রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হয়।'

দ্রুত চিকিৎসক নিয়োগের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা: ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, 'চিকিৎসক এবং জনবল সংকটের কারণে চিকিৎসা দিতে আমাদের একটু কষ্ট পেতে হচ্ছে। এ সংকট থেকে উত্তরণের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আশা করছি দ্রুতই সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।'

প্রতিবছর প্রায় ৬শ' দগ্ধ রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকেন রংপুর মেডিক্যালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে।

আরও পড়ুন