জেলার সংবাদ

একদিনে একই জেলায় তিনজনের আত্মহত্যা

আকরাম হোসেন

ডিবিসি নিউজ

বুধবার ১৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৮:৫৬:০৫ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে একদিনে একই জেলার তিনজনের আত্মহত্যা।

নাটোরের গুরুদাসপুরে ফাতেমা খাতুন হেনা নামের দশ বছরের এক কন্যা শিশু আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে। বুধবার বিকেল পৌনে তিনটার দিকে মায়ের বকা খেয়ে গুরুদাসপুরের শিশু হেনা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে বলে জানায় তার পরিবারের সদস্যরা।হেনা গুরুদাসপুর থানার কুমারখালী চরাপাড়া গ্রামের মোঃ ফজলুর রহমানের মেয়ে।

পুলিশ জানায়, ফাতেমা খাতুন হেনার মা শিল্পী খাতুন ফাতেমাকে পড়াশোনার জন্য গালিগালাজ করে পাশের বাড়িতে যায়। কিছু সময় পর হেনার মা শিল্পী ফিরে এসে ঘরে দরজা বন্ধ দেখতে পায়। পরে জানালা দিয়ে দেখেন ফাতেমা ঘরের তিরের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে। শিল্পী খাতুন চিৎকার করলে প্রতিবেশী মিজানুর রহমান দৌড়ে এসে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ফাতেমাকে নিচে নামিয়ে দেখেন ফাতেমা মারা গেছে। এ ব্যাপারে গুরুদাসপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এদিকে, নাটোরের মোটরসাইকেল না পেয়ে মোঃ ইমন (২৭)নামের এক যুবক যুবকের আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার রঘুনাথপুর আমহাটি গ্রামে। ইমন একই গ্রামের হাসেম আলীর ছেলে।

পুলিশ জানায়, বুধবার সন্ধ্যায় ইমন তার বাবা হাসেম আলীকে একটি মোটর সাইকেল কিনে দেয়ার জন্যে জেদ ধরে। হাসেম আলী তার ছেলে ইমনকে মোটরসাইকেল কিনে দিতে অস্বীকার করে। পরে ইমন সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে নিজ শয়নকক্ষের সিলিং ফ্যানের সাথে ফাঁস দেয়। এ সময় বাড়ির লোকজন টের পেয়ে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে দ্রুত নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া একই জেলার বড়াইগ্রামে চাকরীর তদবিরের জন্য এক লাখ টাকা না দেয়ায় বাবার প্রতি অভিমানে আলমগীর হোসেন বাবু (২২) নামে এক কলেজ ছাত্র বিষাক্ত ট্যাবলেট সেবনে আত্মহত্যা করেছে। বুধবার নিহতের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। নিহত আলমগীর হোসেন উপজেলার বড়াইগ্রাম সদর ইউনিয়নের বাগডোব গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। সে গুরুদাসপুর বিল চলন শহীদ শামসুজ্জোহা সরকারী কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

নিহতের স্বজনরা জানান, কয়েক দিন ধরে বাবু একটি চাকরীর চেষ্টা করছিল। এজন্য সে তার পিতার কাছে এক লাখ টাকা চায়। কিন্তু তার পিতা চাকরী হওয়ার আগে টাকা দিতে রাজি হননি। এতে ক্ষোভে অভিমানে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সে সবার অগোচরে ইঁদুর মারার বিষাক্ত ট্যাবলেট সেবন করে। পরে স্বজনরা বুঝতে পেরে তাকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে রাতেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়।

এ ব্যাপারে বড়াইগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক রবিউল করিম জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

আরও পড়ুন