জাতীয়, বিশেষ প্রতিবেদন, স্বাস্থ্য

'এক উৎস থেকে করোনার টিকা সংগ্রহের সিদ্ধান্ত কূটনৈতিক কৌশলের ভুল'

আকরাম হোসেন

ডিবিসি নিউজ

শুক্রবার ১১ই জুন ২০২১ ০৯:২৪:৫৫ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

শুরুতে একটি উৎস থেকে করোনার টিকা নেয়ার সিদ্ধান্ত কূটনৈতিকভাবে ভুল কৌশল ছিল বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

টিকা কেনা নিয়ে নানা দেশের সাথে কূটনৈতিক তৎপরতা চালাতে হবেই- এটা উপলব্ধি করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরও হোমওয়ার্ক করা দরকার ছিল বলে মনে করেন তারা। তবে সবমিলিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ইস্যুতে অনেকটাই সফল বলেও মন্তব্য তাদের। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, তাদের চেষ্টাতে বাকী টিকা শিগগিরই আসবে।

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার তৈরি করোনার টিকার জন্য প্রথমেই চুক্তি হয় ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউট এর সাথে। নিজেদের করোনা পরিস্থিতি খারাপ হলে টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত। ফলাফল ১৫ লাখ মানুষ প্রথম ডোজ টিকা নিয়ে বসে আছেন দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায়।

চীন প্রথম দফায় ৫ লাখ সিনোভ্যাক টিকা উপহার দেয়। আগামী ১৩ই জুন আরো ৬লাখ ডোজ উপহারের টিকা আসার কথা। এদিকে আমেরিকার উদ্বৃত্ত অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা বিভিন্ন দেশে দেয়ার কথা থাকলেও বাংলাদেশ পাবে কিনা এখনও নিশ্চিত নয়। যদিও ২০ লাখ ডোজ টিকা চেয়েছে বাংলাদেশ। 

টিকা পেতে শুরুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বেশ ভালো ভূমিকা নিলেও তখনই একাধিক উৎস ঠিক না করাটা ভুল কৌশল ছিল বলে মনে করেন কূটনীতি বিশেষজ্ঞরা।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, একটা দুটো দেশ যেভাবে বলছিল তাদের কথার উপরই আমরা বিশ্বাস করছিলাম। এখানে আমাদের আরও কিছু হোমওয়ার্ক করা উচিত ছিল। কূটনীতিতে কখনো একটা প্ল্যান রাখা ঠিক না একাধিক প্ল্যান রাখা উচিত। সেই জায়গায় আমাদের একটা বড় দুর্বলতা ছিল।

আগামীতে টিকা কূটনীতি আরো কৌশলপূর্ণ হবে উল্লেখ করে সাবেক পররাষ্ট্রসচিব তৌহিদ হোসেন বলছেন, যত বেশি দেশকে টিকাপ্রাপ্তির উৎস হিসেবে রাখা যাবে ততই ভালো।

তিনি আরও বলেন, এখন পদক্ষেপটা নেয়া হচ্ছে যে যে উৎস থেকে টিকা নেয়া যেতে পারে তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করা। চীনের সঙ্গে আমাদের একটা সমাঝোতা হচ্ছে কিন্তু আমি বুঝতে পারছি না তারা কেন এতো গোপনীয়তা বজায় রাখছে। তাদের উচিত ছিল একটা ন্যূনতম দাম ঠিক করে সবাইকে একই মূল্যে সরবরাহ করা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলছেন, টিকার বিষয়ে চীন রাশিয়ার সাথে চুক্তি শেষপর্যায়ে রয়েছে। কোনো সংকট হবে না বলে মনে করেন তিনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে চাওয়া ২০ লাখ টিকার কিছু অন্তত খুব শিগগিরই পাওয়া যাবে বলে আশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে টিকা আনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে টিকা দেয়ার জন্য অনুরোধ করেছি। আমাদের দেশে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ প্রথম ডোজ নিয়েছেন। টিকা না পেলে তারা দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারছেন না। আমরা জরুরি ভিত্তিতে তাদের কাছে টিকা চেয়েছি। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, আমাদের টিকা দেবে, তবে কবে দেবে সেটি এখনও বলেনি। তারা অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অন্যান্য টিকা কোভ্যাক্সের অধীনে দেবে।

আরও পড়ুন