বাংলাদেশ, অর্থনীতি

এক বছরের মধ্যেই শুরু হবে সাগর থেকে পাইপ লাইনে তেল খালাস প্রক্রিয়া

আকরাম হোসেন

ডিবিসি নিউজ

রবিবার ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২১ ১০:২৭:১৬ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

আর ১ বছরের মধ্যেই শেষ হচ্ছে, বঙ্গোপসাগরে সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং -এসপিএম নির্মাণের কাজ।

সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং -এসপিএম নির্মাণের কাজ শেষ হলে সাগর থেকে দ্রুত গতিতে তেল খালাস, দেশজুড়ে সরবরাহ এবং অপচয় কমিয়ে বছরে সরকারের সাশ্রয় হবে বছরে ৮শ' কোটি টাকা। তেলের মজুদ সক্ষমতা বাড়বে আড়াই মাস পর্যন্ত। সরকারের আশা, এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভবিষ্যতে বিদেশে পরিশোধিত জ্বালানি তেল রপ্তানিও করা হবে।

গভীর সমুদ্রে তেলবাহী বড় জাহাজ নোঙ্গর করার পর পাম্প করে পাইপের মাধ্যমে তেল আনা হবে মহেশখালীর স্টোরেজ ট্যাংকে। পরিশোধনের পর পাম্প করে আবার পাঠানো হবে চট্ট্রগ্রামে ইস্টার্ন রিফাইনারিতে। এই পুরো প্রক্রিয়ায় সময় লাগবে মাত্র ৪৮ ঘন্টা। আগে লাগতো ১১দিন বা ২৬৪ ঘন্টা।

দেশের জ্বালানি নিরাপত্তায় সময় ও অর্থ সাশ্রয়ের এই ভিত গড়তে দিন-রাত কাজ চলছে মহেশখালীর কালার মার ছড়া দ্বিপে। পাহাড়ী এলাকায় চ্যালেঞ্জিং ভুমি উন্নয়ন শেষে নির্মাণ হচ্ছে ৬টি স্টোরেজ। ক্রুড ওয়েলের জন্য ৩টি। আর ডিজেল রাখার জন্য বাকি ৩টি। সবগুলোতে একসাথে তেল ধরবে প্রায় আড়াই লাখ ঘনমিটার।  

প্রকল্পের এ পর্যন্ত নির্মাণ শেষ হয়েছে ১শ' ৩৫ কিলোমিটার অফশোর লাইন। অনশোরেও বসানো হয়েছে ৫৮ কিলোমিটার পাইপলাইন। কুতুবদিয়া চ্যানেল ও মাতারবাড়ি অ্যাপ্রোচ চ্যানেল অংশে নির্ধারিত গভীরতায় বসানো হয়েছে ৪টি পাইপ লাইন। পুরো প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৬৩.৫ শতাংশ।

বিপিসি'র চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ বলেন, আমাদের জ্বালানি তেলের বিতরণ যে ব্যবস্থাটি আছে তা এখনো ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে করা হয়। এটিকে আধুনিক এবং নিরবিচ্ছিন্ন করার লক্ষ্যেই কাজ হচ্ছে। আমাদের আমদানি করা রিফাইন ওয়েলের যে খরচ তা অনেক কমে আসবে। আমরা কমপক্ষে আড়াই মাসের কাছাকাছি একটা মজুদ করতে পারবো, এটি আমাদের নিরাপত্তার একটা বড় জায়গা তৈরি হবে।

এই প্রকল্প থেকে দেশের বৃহৎ অংশ পর্যন্ত জ্বালানি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। 

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, এইম প্রকল্পটি প্রথমে ছিল সিঙ্গেল পাইপ বা ক্রুড ওয়েল কিন্তু আমরা এটিকে ফিনিশ ওয়েলে সংযোগ করেছি। আমরা যদি ভবিষ্যতে কখনো ফিনিশ ওয়েল রপ্তানি করতে চাই আমরা এই পাইপ লাইন ব্যবহার করতে পারবো। এই পাইপ লাইন ঢাকায় আসার পরে জেট ফুয়েল থার্ড টার্মিনাল যেটা নির্মাণ হচ্ছে সেখানে যেহেতু বিমানের পরিমাণ বেড়ে যাবে সেখানেও একটা পাইপ লাইনের কাজ চলছে।

চিনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে নিমাণাধীন প্রকল্পটিতে খরচ হবে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা। সরকারি অর্থায়নের পাশাপাশি প্রকল্পের ৭০ ভাগ  অর্থের যোগান দিচ্ছে চীনের এক্মিম ব্যাংক।

আরও পড়ুন