করোনার পাশাপাশি দেশে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
নভেম্বরে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সবোর্চ্চ হলেও করোনার কারণে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত ও চিকিৎসা বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। সঠিক সময়ে ডেঙ্গু শনাক্ত না হওয়ায় রোগীদের জটিলতাও বাড়ছে। তাই জ্বর হলেই একই সাথে ডেঙ্গু ও করোনা পরীক্ষার নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। পার্বত্য এলাকায় কারো জ্বর হলে ডেঙ্গু ও করোনার পাশাপাশি ম্যালেরিয়া পরীক্ষারও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
দেশে চলতি বছর ২রা ডিসেম্বর পর্যন্ত এক হাজার ২শ ২০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। অন্যান্য বছর মশাবাহিত এ রোগের প্রকোপ সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে কমতে শুরু করলেও এ বছর নভেম্বরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা গাণিতিক হারে বেড়েছে।
এ বছর অক্টোবর মাসে ১৬৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হলেও নভেম্বরে ৫৪৭ জন রোগী শনাক্ত হয়, যা আগের মাসের চেয়ে তিনগুন বেশি।
জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিস বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচীর ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. আফসানা আলমগীর খান বলেন,এ বছর বর্ষা একটু দেরী করে এসেছে। অক্টোবরে বৃষ্টিপাতের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। এজন্য বৃষ্টির জমে থাকা পানিতে এডিস মশার সংক্রমণও বেড়ে গেছে।
ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্তে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা। কারো জ্বর হলেই অনেকে করোনা ভেবে চিকিৎসা নেয়া শুরু করেন। ফলে ডেঙ্গু আক্রান্তদের জটিলতা বাড়ছে ।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ খলিলুর রহমান বলেন, জ্বর হলে করোনা মনে করে অনেকেই পরীক্ষাও করছে না, কাউকে জানায়ও না। এতে দেরী হয়ে গেলে ডেঙ্গু রোগীর ক্ষেত্রে অনেক সময় প্লাজমা ট্রিটমেন্ট দিতে হয়। আর এসব ম্যানেজ করতেও অনেক সময় লাগে।
এমন অবস্থায় কারো জ্বর হলেই সাথে সাথে ডেঙ্গু ও করোনার পরীক্ষা করানোর জন্য দেশের সব হাসপাতালগুলোয় নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই সাথে পার্বত্য জেলায় কারো জ্বর হলে করোনা, ডেঙ্গুর পাশাপাশি ম্যালেরিয়া পরীক্ষা নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।
জাতীয় ম্যালেরিয়া নিমূল ও এডিস বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচীর ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. আফসানা আলমগীর খান বলেন, কারো জ্বর হলেই প্রথমে টেস্ট করিয়ে ফেলতে হবে। করোনা, ডেঙ্গু এবং ম্যালেরিয়া প্রবণ এলাকায় থাকলে সেই টেস্টও করিয়ে রাখবেন।
গত বছর ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন, মারা যান ১৭৯ জন।