করোনাভাইরাসকে পরাজিত করে ঘরে ফিরলেন ৯৫ বছর বয়স্ক এক বৃদ্ধা। করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করে একেবারে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন সুইজারল্যান্ডের নাগরিক গেট্রুড ফেটন। রয়টার্স জানায়।
এর আগে, মার্চের শুরুতে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠেন চীনের ১০১ বছর বয়সী এক পুরুষ ও ৯৪ বছর বয়সী এক নারী। তারা দুজনই উহানের বাসিন্দা। দ্যা সান জানায়।
সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছেন বয়স্করাই। সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বয়স্ক ব্যক্তিরাই সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় মারা গেছেন ।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক সপ্তাহ আইসোলেশনে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) থেকে গত শুক্রবার বাড়ি ফিরেছেন গেট্রুড ফেটন। তবে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও এখনো ২১ জন নাতি-পুতির সঙ্গে সরাসরি দেখা হয়নি তার। অনলাইনের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন ফেটন।
বাসায় ফিরে হাসপাতালে আইসোলেশনে থাকার বর্ণনা দিয়েছেন ফেটন। তিনি বলেন, হাসপাতালের একটি আইসোলেশন কক্ষে তার চিকিৎসা চলে। সেখানে তাকে কৃত্রিম অক্সিজেন দেওয়া লেগেছে। কিন্তু একপর্যায়ে তিনি চিকিৎসকদের কাছে অনুরোধ করেন, তাকে যেন কৃত্রিম অক্সিজেন না দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ফেটন বলেন, 'এই বয়সে আমাকে আর কৃত্রিম অক্সিজেন দেবেন না। আমি জীবনটা কাটিয়ে ফেলেছি, উপভোগ করেছি। এখন আমাকে শান্তিতে মরতে দিন।'
এর আগে, করোনাভাইরাসকে পরাজিত করে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ফেরেন চীনের উহানের ১০১ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। করোনাভাইরাসে সূতিকাগার বলে পরিচিত উহানের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর দাই নামে ওই ব্যক্তি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। দাই এর আগে করোনাভাইস থেকে সুস্থ হন ৯৪ বছর বয়সী হু হানিং নামে এক নারী।