জেলার নানিয়ারচর উপজেলার বগাছড়ি এলাকার বাসিন্দা মানিক খান। গেল বছর এক বাগান মালিকের কাছ থেকে কয়েকজন মিলে একটি বড় আম বাগান লিজ নেন। বাগানে চাষ করা হয় হিমসাগর, গোপালভোগ, ল্যাংড়া, হাড়িভাঙ্গা, আশ্বিনী, রুপালি এবং আম্রপালিসহ কয়েক ধরণের আম। ফলন ভালো হওয়ায় এ বাগানের আম শুধু স্থানীয় চাহিদাই মেটাচ্ছে না, পাঠানো হচ্ছে বিদেশেও।  

নানিয়ারচর হর্টিকালচার সেন্টারের উদ্যোগে “বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পে” উপজেলার সেরা বাগানের ফল নির্বাচন করে চলতি বছর এই আম রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে ইতালি, যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশে রপ্তানি হয়েছে পাহাড়ের সুস্বাদু আম।  

রাঙামাটি  কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক পবন কুমার চাকমা বলেন, "আমরা আম উৎপাদন করার জন্য প্রযুক্তিগুলো আমাদের কৃষকদের মাঝে বিতরণ করি। তাদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষিত করি। এর ফলশ্রুতিতে প্রথম বছরেই আম বাইরে যাচ্ছে।"  

নানিয়ারচর হর্টিকালচার সেন্টারের সিনিয়র উদ্যানতত্ত্ববিদ  মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, "এ বছর যত্ন নেয়ার ফলে এবং বাগান ব্যবস্থাপনার ফলে আমরা একদম অর্গানিক আম পেয়েছি। যারা বাগান কেটে ফেলতে চেয়েছিলেন তারাও এখন লাভবান হতে পারবেন।"  

এবার রাঙামাটিতে ৩ হাজার ৩৭০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। আর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫০ হাজার ৫৫০ মেট্রিক টন।