প্লেয়ার্স ড্রেসিংরুমে প্রবেশ বহিরাগত একজনের।
করোনা সংক্রমণের চরম ঝুঁকির মধ্যেও মিরপুর শেরেবাংলায় বহিরাগতদের প্রবেশ।দেখা গেছে প্লেয়ার্স ড্রেসিং রুমেও। এতে ক্রিকেটার নিরাপত্তা আর স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। প্রশ্নের মুখে পড়েছে বিসিবির স্বাস্থ্যবিধি মানা। বিসিবির নিরাপত্তা প্রধানের সঙ্গে বারবার কথা বলার চেষ্টা করেও মেলেনি কোন সারা।
করোনার এমন ঝুঁকিপূর্ণ সময়ে প্রশ্নবিদ্ধ বিসিবির স্বাস্থ্যবিধি মানা, সঙ্গে ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা। মিরপুর শেরেবাংলার মাঠ, গ্র্যান্ডস্ট্যান্ড এমনকি প্লেয়ার্স ড্রেসিং রুমে বহিরাগতদের অবাধ প্রবেশ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই ছবি আপলোড হলে মুহূর্তে ঢেউ লাগে সবখানে।
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমনের শুরুর দিকেই বন্ধ করে দেয়া হয় বিসিবি কার্যালয়। ২১শে মার্চ থেকে শুরু হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের হোম অফিস। দুই মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর মে মাসের প্রথম দিন থেকে সীমিত আকারে খুলে দেয়া হয় বিসিবি কার্যালয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিস করছে বিসিবির কর্মকর্তা কর্মচারীরা। তবে এখনো অফিসে মিডিয়া কিংবা সাধারণের প্রবেশ বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
কোরবানীর ঈদের সপ্তাখানেক আগে থেকে ক্রিকেটারদের একক অনুশীলন চালু করে বিসিবি। ছুটির পর দ্বিতীয় দফায় অনুশীলন করছে জাতীয় দল ও জাতীয় দলের রাডারে থাকা খেলোয়াড়রা। বিসিবির তত্ত্বাবধানে একক অনুশীলন শুরু করেছে নারী ক্রিকেটাররাও।
একক অনুশীলন শুরু হওয়ার পর সীমিত আকারে গণমাধ্যমের জন্য খুলে বিসিবির দুয়ার। মিডিয়া গেইট দিয়ে নির্দিষ্ট একটা জায়গায় থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করে মিডিয়া কর্মীরা। বিসিবির নিয়মে শুধু টিম অফিসিয়াল আর স্টাফ ছাড়া ক্রিকেটারদের ধারেকাছেও যেতে পারবে না কেউ। কিন্তু বাস্তব চিত্র বলছে ভিন্ন কথা। মাঠ, গ্র্যান্ডস্ট্যান্ড, প্লেয়ার্স ড্রেসিং রুমে দেখা গেছে বহিরাগতদের উপস্থিতি। আর তারা যে বিসিবির কেউ নন, বোর্ড সুত্রেই মিলেছে তার সত্যতা। আর তাদের ফেইসবুক প্রোফাইলেও তা নিশ্চিত।
এ বিষয়ে বিসিবির প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তার সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে ব্যক্তিগত হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টে প্রশ্ন পাঠাতে বলেন। তবে প্রশ্ন পাঠানোর পর থেকে তাকে আর ফোনেও আর পাওয়া যায়নি।
কদিন আগে শেখ কামালের জন্মদিন উদযাপন করে বিসিবি। সেখানেও দেখা গেছে বহিরাগতদের উপস্থিতি। আর স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে ছিলো না কড়াকড়ি।