বিক্রি কমায় মার্চে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আয় পূরণ করতে পারবে না অ্যাপল।
করোনাভাইরাসের প্রভাব মার্কিন প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান অ্যাপলের ওপরেও পড়বে। করোনা ভাইরাসের প্রভাবে বাজারে চাহিদা না থাকায় আইফোনের বিক্রি কমেছে। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি। সংস্থাটি জানিয়েছে, আইফোনের বিক্রি কমায় মার্চে অ্যাপল তাদের কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আয় পূরণ করতে পারবে না।
বিবৃতিতে জানানো হয়, চীনে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মীদের নিরাপত্তার স্বার্থে দেশটিতে সব বিক্রয়কেন্দ্র বন্ধ করা হয়েছে। ভাইরাস আতঙ্কে এশিয়ার অন্যান্য দেশে পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে সাবধানতা অবলম্বন করছে। এতে নানা জটিলতায় প্রায় সব প্রযুক্তি পণ্যের সরবরাহ কমেছে।
প্রত্যাশামাফিক রাজস্ব আদায় হচ্ছে না জানিয়ে কোম্পানিটি বলেছে, ‘আমরা মার্চ প্রান্তিকে যে পরিমাণ রাজস্ব আদায়ের আশা করেছিলাম তা হচ্ছে না। আমরা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কম রাজস্ব পাচ্ছি।’
অ্যাপলের আইফোন উৎপাদনের বড় পার্টনার চীন। গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর সেখানকার সব কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। প্রদেশটির বাইরে যেসব কারখানা রয়েছে অ্যাপলের তা ধীরে ধীরে খুলছে। আর কারখানা খুললেও কর্মঘণ্টা কমিয়ে দেয়া হয়েছে। এতে করে প্রত্যাশামাফিক পণ্য উৎপাদন করতে পারছে না প্রতিষ্ঠানটি।
করোনাভাইরাসের কারণে চীনে আইফোনের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় তাদের আগাম পূর্বাভাসের তুলনায় আয় কমে যাবে অ্যাপলের পক্ষ থেকে সতর্ক করে বলা হয়েছে। অ্যাপল স্বীকার করেছেন, তাদের আইফোন উৎপাদন ও বিক্রি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বিশ্বব্যাপী আইফোন সরবরাহ সাময়িক বিঘ্নিত হয়েছে।
এই প্রথম কোনো মার্কিন কোম্পানির পক্ষ থেকে সরাসরি চীনে করোনাভাইরাস মহামারিতে আর্থিক ক্ষতির বিষয়টি স্বীকার করে নেয়া হলো। চলতি প্রান্তিকে শুধু হ্যান্ডসেট বিক্রির মাধ্যমে ৬ হাজার ৭শ কোটি মার্কিন আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে আইফোন। মার্চ পর্যন্ত এ বছরের প্রথম চতুর্ভাগের গাইডলাইন অনুসরণ করতে পারছে না।
বিশ্লেষকরা বলেছেন, করোনা ভাইরাসের কারণে এ বছর প্রথম চতুর্ভাগে হ্যান্ডফোন সেটের চাহিদা কমে যাবে অর্ধেক।