ফুটবলারদের চার মাসের বেতন কাটছে য়্যুভেন্তাস। জুনের মধ্যে খেলা শুরু না করা গেলে বাতিল হবে মৌসুম।
করোনাভাইরাস মোকাবেলায় তহবিল সংগ্রহে অনলাইন কনসার্টের আয়োজন করেছে লা লিগা। ক্ষতিটা পুষিয়ে নিতে ফুটবলারদের বেতন কাটার সিদ্ধান্তে যাচ্ছে ইউরোপের জায়ান্ট ক্লাবগুলো। সেই তালিকায় এবার নাম লিখিয়েছে ইতালিয়ান সিরি-আ টপার ইউভেন্তাসও। তবে উয়েফা প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, জুনেও যদি খেলা শুরু না করা যায়, তবে বাতিল করতে হবে পুরো মৌসুম।
ঘোর অন্ধকারে সত্যিকারের তারকারাই কেবল চমকায়। করোনাভাইরাস আতঙ্কের এই সময়ে স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, খাদ্য, পরিচ্ছন্নতা, নিরাপত্তা কিংবা গণমাধ্যমের সাথে জড়িত, যারা এই দুঃসময়েও ঝুঁকি নিয়ে পালন করে যাচ্ছে নিজেদের দায়িত্ব, তারাই সত্যিকারের তারকা। নিজেদের আয়োজিত অনলাইন কনসার্টের প্রোমোশনাল ভিডিওতে এমন কথাই বলছে স্প্যানিশ লা লিগা।
লা লিগা স্যানটানডার ফেস্ট অললাইন কনসার্ট দিয়ে করনোভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের তহবিল সংগ্রহ করেছে স্প্যানিশ লিগ কর্তৃপক্ষ। ফেস্টে স্পেনের বিখ্যাত শিল্পীদের পাশাপাশি অংশ নিয়েছেন ফুটবলাররাও।
এতো চেষ্টার পরেও থামানো যাচ্ছে না করোনাভাইরাসকে। কোভিড নাইন্টিনের মরন কামড়ে সবচেয়ে বেশি ভুগছে ইতালি। ৩রা এপ্রিলের পর শুরু হওয়ার কথা ছিল ইতালিয়ান ফুটবল। তবে নিশ্চিতভাবেই অপেক্ষা দীর্ঘ হচ্ছে আরো। আর সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতেই খেলোয়াড়দের বেতন কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিরি আর শীর্ষ ক্লাব ইউভেন্তাস। তাতে সায় দিয়েছে ফুটবলাররা। ম্যানেজার মাউরিজিও সারিরও নেই কোনো আপত্তি।
ইউভেন্তাসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মার্চ থেকে জুন এই চার মাসের বেতন কেটে রাখা হবে। টাকার অংকে যেটা প্রায় ৯০ মিলিয়ন ইউরো, খেলোয়াড়ের বার্ষিক বেতনের তিন ভাগের এক ভাগ। স্বাভাবিকভাবেই সবচেয়ে বেশি বেতন কাটা পড়ছে ইতালির হায়েস্ট পেইড ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর। তার জন্য বছরে ৩১ মিলিয়ন ইউরো গুনতে হয় গেল আট সিজনের সিরি আ চ্যাম্পিয়ন ইউভেন্তাসকে।
খারাপ খবর আছে আরো। এপ্রিলের গোড়ার দিকেই ইউরোপের মাঠে ফুটবল ফেরার আশা ছিল। কিন্তু পরিস্থিতি অনুকূলে নেই মোটেও। জুনের শেষেও শুরু করা না গেলে বাতিল করা লাগবে মৌসুমটাই। বলছেন, উয়েফা প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দার ক্যাফেরেইন। সেক্ষেত্রে দর্শকবিহীন মাঠে সিজনের বাকি ম্যাচগুলো খেলা একটা বিকল্প হতে পারে বলে মনে করেন তিনি। তবে করোনার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না কোচ আর খেলোয়াড়রাও। তাই ক্লোজডোর ম্যাচের ক্ষেত্রেও থাকছে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি।