অর্থনীতি, জেলার সংবাদ, বিশেষ প্রতিবেদন, কৃষি

করোনার কারণে রংপুরে হাড়িভাঙ্গা আমের বাজারে ধস

আবু বকর

ডিবিসি নিউজ

বৃহঃস্পতিবার ৮ই জুলাই ২০২১ ১০:২৯:০৭ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

চলমান কঠোর বিধিনিষেধে ধস নেমেছে হাড়িভাঙ্গার বাজারে। রংপুরের পাইকারি বাজারগুলো আমের ক্রেতা খুবই কম। আশঙ্কা করা হচ্ছে এ বছর ক্ষতি দাঁড়াতে পারে শত কোটি টাকার ওপর।

রংপুর নগরীর টার্মিনাল, পদাগঞ্জ ও লালবাগসহ হাড়িভাঙ্গার বিভিন্ন আড়তে খুব একটা হাঁক-ডাক নেই ক্রেতা-বিক্রেতার। নেই তেমন বেচা বিক্রিও।

বর্তমানে মণ প্রতি হাড়িভাঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ১৩শ থেকে ১৬শ টাকা। অথচ গত বছর এই সময়টাতে মণ ছিলো ২৮শ থেকে ৩৫শ টাকা পর্যন্ত। বাগান মালিক ও ব্যবসায়িরা বলছেন, করোনার কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক না থাকা এবং দেশের নানা প্রান্ত থেকে ব্যবসায়িরা আসতে না পাড়ায় ধস নেমেছে আমের বাজারে। কয়েকজন আম ব্যবসায়ী জানান, তিন হাজার টাকার আম বর্তমানে দুই হাজার টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। লকাউনের কারণে আমের দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। যে টাকা দিয়ে বাগান কেনা হয়েছে তার অধের্ক টাকাও উঠবেনা।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক জানান, পাইকারী ক্রেতারা  সরাসরি আসতে না পারায় কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়েছেন বাগানি ও ব্যবসায়ীরা। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বাজার একটু কম। বাজার উন্মুক্ত না থাকার কারণে বাজারে আমও নিয়ে আসতে পারছেনা পাইকারীরা। লকডাউনের কারণে এই সংকটটা তৈরি হয়েছে।

জেলা প্রশাসক জানালেন, বাগানিদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পরিবহণের সহায়তার পাশাপাশি ত্রাণসহ সরকারি বিভিন্ন খাদ্য তালিকায় হাড়িভাঙ্গাকে যুক্ত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। 
রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বলেন, 'পরিবহণে যেন কোন সমস্যা না হয়, সেজন্য প্রথম থেকেই আমরা সহযোগিতা করে আসছি। উপজেলা পর্যায়ে অসহায় মানুষকে আম দেয়া হচ্ছে। এবার আমরা জেলা পর্যায়েও তা দেয়া শুরু করবো।'

জেলায় হাড়িভাঙ্গা আমের উৎপাদন  লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৩০ হাজার টন।  যার মূল্য প্রায় ২০০ কোটি টাকা।  তবে এ বছর তা অর্ধেক দামে বিক্রির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন