করোনার মতো মহামারি থেকে মানবজাতিকে রক্ষায় দ্রুত টিকা আবিষ্কারের তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গ্লোবাল ভ্যাকসিন সামিটের ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নিয়ে এ তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী।
সামিটে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, জাতিসংঘ মহাসচিব, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধানসহ ৫০টিরও বেশি দেশের সরকারপ্রধান ও বিভিন্ন সংস্থার প্রধান অংশ নেন। বৃহস্পতিবার (৪ঠা জুন) ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ভ্যাকসিন দিয়ে সাহায্য করা এবং গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন-গ্যাভির জন্য কমপক্ষে সাত বিলিয়ন ডলার সংগ্রহের উদ্দেশ্যে গ্লোবাল ভ্যাকসিন সামিটের আয়োজন করে যুক্তরাজ্য সরকার।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, করোনা মহামারি দেখিয়ে দিয়েছে বৈশ্বিক দুর্যোগে এখনও আমরা কতটা অসহায়। এসব ভাইরাসের অনেকগুলোই পুরো মানবজাতির জন্য হুমকি তৈরি করতে পারে। পৃথিবীতে কয়েক লাখ ভাইরাস রয়েছে যেগুলো মহামারি পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে। মানুষের টিকে থাকতে হলে নতুন পুরনো সব ভাইরাসেরই টিকা প্রয়োজন। প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম একথা মনে করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী টিকা কার্যক্রমের গুরুত্ব তুলে ধরেন ও মহামারি মোকবিলায় দ্রুত টিকা আবিষ্কারে জোর দেন তিনি।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে করোনার বিস্তার ঠেকাতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সরকার ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্যকর্মীরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে করোনার বিস্তার ঠেকাতে কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্বে সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এখন পর্যন্ত মাত্র ৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী টিকাদান কার্যক্রমে গ্যাভি'র অবদানের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্যাভি'র সহায়তায় আমাদের টিকাদান কর্মসূচি ৯৮ শতাংশ পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা গেছে। তাদের অংশগ্রহণ ও আর্থিক সহায়তা ছাড়া আমাদের সার্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচিও সফল হতো না।
বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ শিশুর জীবন বাঁচাতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের সামান্য ইচ্ছাতেই গ্যাভি’র পূর্ণ তহবিল নিশ্চিত হতে পারে, যা দিয়ে আরও ৩০ কোটি শিশুকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা যেতে পারে, বাঁচতে পারে আশি লাখ শিশুর জীবন। শুধু আমি নই, গ্যাভিকে সহায়তা করতে গোটা বিশ্বই আপনার দিকে তাকিয়ে আছে।