লাইফস্টাইল, স্বাস্থ্য

করোনা হলে কি করনীয়

শামীম আহমেদ

ডিবিসি নিউজ

মঙ্গলবার ৪ঠা মে ২০২১ ১২:২১:৩০ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ কোটি ৩৮ লাখের বেশি মানুষ। আর আক্রান্ত হয়ে সারা বিশ্বে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৩২ লাখ ২১ হাজারেরও বেশি। বাংলাদেশেও এই মহামারিতে দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল।

করোনা আক্রান্ত হলে কি করনীয় সে বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন সিংগাপুরের অণুজীববিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল। করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টগুলো আগের ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে বেশি সংক্রামক ও দ্রুত মুখ-গলার কোষগুলোর ক্ষতি করে উল্লেখ করে ড. বিজন কুমার পরামর্শগুলো দিয়েছেন।

করোনা আক্রান্ত হলে করনীয়:

১. যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রোগের উপশমগুলো চিহ্নিত করে চিকিৎসা শুরু করে দেয়া হলো বুদ্ধিমানের কাজ।

২. ফুসফুস যেন কোনভাবেই আক্রান্ত না হয়, সেই লক্ষ্যে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে 'ব্রড স্পেক্ট্রাম' অ্যান্টিবায়োটিক সেবন শুরু করা দরকার। পাশাপাশি বেশি পরিমাণে ভিটামিন 'সি' (২০০০ মি.গ্রা. দিনে ও রাতে) ও সঙ্গে জিংক প্রতিদিন খাওয়া শুরু করলে দুর্বল শরীরও করোনার বিরুদ্ধে সবল রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে এবং দ্রুত সেরে উঠতে পারেন।

৩. 'ব্রড স্পেক্ট্রাম' বা উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক ডাক্তারের পরামর্শে উপসর্গ দেখার শুরুতে গ্রহণ করলে করোনা আক্রান্ত হলেও তা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। বিশেষ করে ফুসফুসের বড় ক্ষতি ঠেকানো সম্ভব হয়।

৪. দিনে দু'বার ২০০০ মি.গ্রা (দিনে ও রাতে দুইভাগে) ভিটামিন 'সি' পনিতে মিশিয়ে পান করলে দুটো উপকার পাওয়া যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে ও ফুসফুসে পানি জমতে বাধা দেবে, ক্ষতিগ্রস্ত ফুসফুসকে দ্রুত সেরে তুলতে সাহায্য করবে। মনে রাখতে হবে সারা দিনে ৩-৪ লিটার পানি পান করতে হবে।

৫. যে কোন পর্যায়ে শুকনো কাশি দেখা দিলে রোগটিকে খারাপ পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে পরিত্রাণ পেতে আদা, সাদা গোলমরিচ ও লবঙ্গের তৈরি গরম পানি বা চা তৈরি করে দিনে ৪-৫ বার পান করলে কাশি থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে।

৬. যদি ডায়রিয়া দেখা দেয় তাহলে নিমপাতার রসের সঙ্গে হলুদ (কাঁচা) মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া সম্ভব।

৭. কেউ যদি করোনাকালে ডায়রিয়া আক্রান্ত হন তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে। বিশেষ করে খেয়াল রাখতে হবে ঠান্ডা লেগে নিউমোনিয়া (টেস্ট সাপেক্ষে) হলে সে অনুয়ায়ী চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খেতে হবে।

৮. ডায়রিয়া হলে পাতলা পায়খানা থামাতে ডাক্তারের পরামর্শে সঠিক ওষুধটি খেতে হবে। পাশাপাশি আগে-পরে নিমপাতার রসের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে তা পান করতে হবে। এটা বাড়িতেই করা যেতে পারে।

৯. কেউ করোনা আক্রান্ত হলে প্রথম দিকে শুকনো কাশি ও গলাব্যথা (বা গলায় কাঁটা কাঁটা লাগা) হলে ডাক্তারের পরামর্শে গরম পানি পান করতে পারেন। যার মধ্যে থাকতে পারে আদা, গোলমরিচ, লবঙ্গের পাউডার, চিনি বা মধু। এই গরম পানি পান করলে মুখের ইনফেকশন কমবে ওবং মুখে রোগ প্রতিরোধকারী কোষের সংখ্যা বাড়ে। ফলে আপনার মাধ্যমে পাশাপাশি ভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনাও কমে যায়।

উপরোক্ত নির্দেশনাগুলো মেনে চললে রোগী করোনায় আক্রান্ত হলেও ভয়াবহ রুপ নেবে না এবং অক্সিজেনের জন্য হাসপাতালের দ্বারস্থ হতে হবে না। বাঁচবে মূল্যবান জীবন।

আরও পড়ুন