১৮৭৮ সালের আজকের এইদিনে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়ায় জমিদার বংশে জন্ম তার।
কাজলাদিদি- শ্রিকল, অন্ধ বধু, কর্মসহ অনেক কবিতার জনপ্রিয় কবি যতীন্দ্রমোহন বাগচী। যিনি ছিলেন রবীন্দ্রোত্তর যুগের শক্তিমান কবিদের অন্যতম। তার কবিতায় ছিল পল্লী প্রেম, সমাজ সংস্কৃতির ছোঁয়া। জমিদারিও পারেনি বাধঁসাধতে তাকে সহজ সরল জীবনের সঙ্গে মিশে যেতে।
ছোট কিংবা বড় এমন কোন পাঠক পাওয়া দুস্কর যিনি কাজলা দিদি পড়ে আবেগ তাড়িত হননি। কাজলা দিদির সাথে ভাইয়ের প্রেমের স্মৃতিতে মন্থন হননি। অবিভক্ত বাংলার নদীয়া জেলার জমিদার বাগচী পরিবারে জন্ম সেই কাজলা দিদির কবি যতীন্দ্রমোহন বাগচী।
খুব ছোটবেলা থেকে কাব্যের সঙ্গে সখ্য, মাত্র তের বছর বয়সেই লিখেন আবেগমাখা ছোট কবিতা। ১৮৯১ সালে ঈশ্বরচন্দ্রের মৃত্যু সংবাদ এতটাই ব্যথিত করেন কিশোর যতীন্দ্রমোহনকে তখনি বিদ্যা সাগরের স্মরণে লিখে ফেলেন শোকগাঁথা। সেই কবিতাটিই তার প্রকাশিত প্রথম কবিতা।
ছাত্রাবস্থা থেকে ‘ভারতী’ ও ‘সাহিত্য’ পত্রিকায় প্রকাশ হতে থাকে তার কবিতা। ধীরে ধীরে তার কবিতার পঙতি ফুটে উঠে মুখে মুখে। শিক্ষাজীবনের পাঠ চুকিয়ে নদীয়াস্থ জমিদারী দেখাশোনার দায়িত্ব গ্রহণ করলেও মন সায় দেয়নি। সব ছেড়ে পুরোপুরি সাহিত্য চর্চায় মনোনিবেশ করেন।
মানসী, বঙ্গদর্শন,সাহিত্য, ভারতী, প্রবাসী,সাধনা, সবুজপত্র, মর্মবাণী,পূর্বাচল, যমুনা ইত্যাদি পত্রিকায় বিভিন্ন সময়ে তিনি লিখেছেন। পল্লী প্রকৃতির সৌন্দর্য ও পল্লী জীবনের সুখ-দুঃখের কথা, দক্ষতার সঙ্গে প্রকাশ করেন।
লেখা, রেখা, অপরাজিতা, বন্ধুর দান, জাগরণী, নীহারিকা, মহাভারতীসহ বেশ কিছু জনপ্রিয় কাব্যগ্রন্থ আছে তার।