মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে যান কারাগারে। সেখানে বসে তৈরি করেন জালমুদ্রা তৈরির সিন্ডিকেট। তৈরি করা জাল মুদ্রা পাচার করতেন ভারতে। রাজধানীর বাসাবোতে ছিল কারখানা।
তবে, অবশেষে ডিবির অভিযানে বিপুল জালমুদ্রাসহ এই সিন্ডিকেটের আট সদস্যসহ গ্রেপ্তার হলো মাস্টারমাইন্ড বশিরুল্লাহ।
মেশিনে চাপ দিতেই বের হচ্ছে চকচকে নতুন নোট; টাকা নয়, সবই রুপি। নিখুঁত এর কারুকাজ। খালি চোখে দেখলে বোঝার উপায় নেই এগুলো আসলে জাল নোট। রাজধানীর বাসাবোর ফ্ল্যাটটির প্রতিটি কক্ষই জাল রুপির কারখানা। যেখানে অনেকদিন ধরেই এসব তৈরি করছিল মহাজন মনির।
তিনজন দক্ষ কারিগর দিয়ে তিনি তৈরি করেন জাল রুপি। এক লাখ জাল রুপি ১৫ হাজার থেকে ২২ হাজার টাকায় বিক্রি হতো বশিরউল্লাহর কাছে। বশির তা ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিতেন আষাড়ি আর আকবরের কাছে। দু'জনের হাত ধরে তা চলে যায় ভারতে। আর এর সবকিছুর মাস্টারমাইন্ড বশিরুল্লাহ। মাদক মামলায় জেলে গিয়ে তিনি অন্য আসামিদের নিয়ে তৈরি করেছিলেন জাল মুদ্রা তৈরির সিন্ডিকেট।
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৫০০ ও ২০০০ রুপির তৈরিকৃত ৪৯ লাখ এবং আরও প্রায় ৫ কোটি রুপি মূল্যের কাগজ জব্দ করেছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে এই রূপি ভারতে পাচার হতো বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর বিভাগ) উপ কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, "বশির এ নিয়ে চতুর্থবারের মত ধরা পড়লো। তারা সংশোধিত হয় না। বারবার এ কাজগুলো করছে। একই অপরাধ যদি কেউ দ্বিতীয়বার করে তবে সাজা বাড়বে- নতুন আইনে এমনটি আছে। আশা করছি নতুন আইন কার্যকর হলে এই ধরনের অপরাধের সুযোগ তারা কম পাবে।"
দুদেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বৈঠকে বিষয়টি তোলা হবে বলেও জানায় ডিবি পুলিশ।