আবরার হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার অনিক সরকারকে কারাগারে পেটানোর বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবরারকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ঘটনার পরদিনই যে ১০ জন বুয়েট শিক্ষার্থীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গ্রেপ্তার করে তাদের একজন অনিক সরকার। গ্রেপ্তারের পর অনিককে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ড শেষে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার পর অনিককে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়।
কিন্তু, দেশের বেশকিছু গণমধ্যামে খবর প্রকাশিত হয় কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছাতেই ক্ষুব্ধ বন্দিরা অনিকের ওপর হামলা চালায়। পরে, কারারক্ষীদের হস্তক্ষেপে রক্ষা পান অনিক সরকার।
কারাগারে অনিক সরকারকে পেটানোর বিষয়ে, আজ মঙ্গলবার (১৫ই অক্টোবর) ব্যাখ্যা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফ মাহমুদ অপু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়, বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার অনিক সরকারকে কারাগারে পিটিয়েছে আসামিরা এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হয় দেশের কয়েকটি গণমাধ্যমে। এ সংক্রান্ত, সংবাদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের যথাযথ কর্তৃপক্ষ এবং কারা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যথাযথ কর্তৃপক্ষ কারা অধিদপ্তরের কারা মহা পরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশা’র বক্তব্য হলো-‘অনিক সরকার গ্রেপ্তার হওয়ার পর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছালে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে কারা সেলে রাখা হয়। কারা অভ্যন্তরে প্রবেশের পর অনিক সরকার কারারক্ষী বা কারাবন্দি কারও দ্বারাই আঘাতপ্রাপ্ত বা শারীরিকভাবে লাঞ্চিত হননি।‘
সুতরাং, গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদটি সত্য নয়।