জেলার সংবাদ, অপরাধ

কিশোরকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য গ্রেপ্তার

রাজশাহী প্রতিনিধি

ডিবিসি নিউজ

শনিবার ৩রা এপ্রিল ২০২১ ০১:৩৩:৩৭ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় তুষার (১৩) নামের এক কিশোরকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২ এপ্রিল) দিবাগত রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত জহিরুল ইসলাম (৪৫) উপজেলার মেরামতপুর গ্রামের মৃত জয়েন শাহর পুত্র। তার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী কিশোরের বাবা ছহির উদ্দীন বাদী হয়ে মামলা করেছেন।

জহিরুলের পুকুরে মাছ চুরির অভিযোগে ওই কিশোরকে শুক্রবার দুপুরে গাছে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। পরে জহিরুল নিজেই সেই ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছাড়েন। নির্যাতনের শিকার কিশোর উপজেলার উত্তর মেরামাতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। তার বাবা চারঘাট পৌরসভার মেরামতপুর মহল্লার বাসিন্দা।

স্থানীয়রা জানান, ওই কিশোর জহিরুল ইসলামের পুকুরে গোসল করতে যায়। তখন অন্য কয়েকজন পুকুরে মাছ ধরছিলো। কিছু সময় পর জহিরুল পুকুর পাড়ে আসেন। এ সময় কয়েকজন পালিয়ে যায়। তখন জহিরুল ওই কিশোরের কান ধরে তাকে পুকুর পাড়ে নিয়ে আসেন। এরপর একটি গাছের সঙ্গে তাকে বেঁধে রাখেন। তাকে চড়-থাপ্পড় দেওয়া হয়। ঘণ্টাখানেক বেঁধে রাখার পর ঘটনাটি দেখে স্থানীয় লোকজন ছেলেটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে জহিরুল ইসলাম ওই কিশোরকে গাছে বেঁধে রাখার দৃশ্য ফেসবুকে শেয়ার করেন। এ ঘটনায় রাতে ওই কিশোরের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।

ওই কিশোরের বাবা ছহির উদ্দীন বলেন, চুরির অপবাদ দিয়ে আমার ছেলেকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। অন্য কেউ তার পুকুরে মাছ চুরি করতে পারে, আমার ছেলে পুকুরে গোসল করতে গিয়েছিলো। তবুও তাকে মারধর করা হয়েছে। সে এখন হাসপাতালে আছে।

তিনি দাবি করেন, তার ছেলে তাকে জানিয়েছেন যে জহিরুল তার পায়ুপথে মাছ ঢুকিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন।

চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পায়ুপথে মাছ ঢুকিয়ে দেয়ার চেষ্টার বিষয়টি জানি না। তবে তাকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। থানায় দায়ের করা মামলায় ওই কিশোরকে নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া নির্যাতনের ছবি ইন্টারনেটে প্রকাশ করায় একই মামলায় জহিরুলের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ধারা যুক্ত করা হয়েছে। আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে বলেও জানান ওসি।

আরও পড়ুন