সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্য বাবা-মা'র কার্যকরী ভূমিকা ও কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কাজ করছে 'সেফ টিন'
সন্তানদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবচেয়ে ভূমিকা পালন করেন বাবা-মা। কিন্তু, অনেক সময় অভিভাবকের সঙ্গে সন্তানদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে না।এ কারণে কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর অনেক সময়ই নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিভিন্ন সময় নানা উদ্যোগ নেয়া হয়। তবে, দেশে এই প্রথম প্যারেন্টিং এবং কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্য উভয় দিককে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করছে নতুন কমিউনিটি অর্গানাইজেশন 'সেফ টিন'।
সংগঠনটি বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে মা-বাবাকে সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে দক্ষ ও সচেতন করে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতেও নানাভাবে অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছে 'সেফ টিন'র সদস্যরা। এ লক্ষ্যে নির্দিষ্ট সময়ব্যাপী বিভিন্ন ক্যাম্পেইনের আয়োজন করে আসছে 'সেফ টিন'।
লামিয়া ইসলাম প্রীতি, ইফফাত হক আশা, ফাহমিদা হক রিমতি, মোহাম্মদ মাহিনুর মিজান খান এবং জাওহার নুসরাত বীণার হাত ধরে যাত্রা শুরু করে সংগঠনটি। গত বছরের নভেম্বরে ব্র্যাক ইয়ুথ প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত 'আমরা নতুন নেটওয়ার্ক' নামক ট্রেনিং সেশনের পর জন্ম নেয় 'সেফ টিন'। আর এ বছরের ১০ জানুয়ারি হতে 'সেফ টিন' তাদের প্রথম ক্যাম্পেইন শুরু করে।
সংগঠনটির প্রথম ক্যাম্পেইনটির এজেন্ডা ছিলো 'প্যারেন্টিং স্টাইল'। বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরার মাধ্যমে টিমের সদস্যরা মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বাবা-মা'র ভূমিকা ও করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করে। এরপর ৬ মার্চ সংগঠনটি 'সেলফ হার্ম' শিরোনামে তাদের দ্বিতীয় ক্যাম্পেইন শুরু করে। এতে, বাবা-মা'র সঙ্গে সন্তানের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি এবং সামাজিক প্রথার নামে বিভিন্ন ট্যাবু সরিয়ে সুস্থ ও সুন্দর মননশীলতার চর্চা করতে কিশোর-কিশোরীদের উদ্বুদ্ধ করে 'সেফ টিন'র সদস্যরা।
বর্তমানে সংগঠনটি তাদের তৃতীয় ক্যাম্পেইন পরিচালনা করছে। এবারের প্রতিপাদ্য 'প্যারেন্ট-চাইল্ড অ্যাটাচমেন্ট'। এছাড়া বিভিন্ন গবেষণামূলক কার্যক্রমেও সম্পৃক্ত হয়েছে 'সেফ টিন'।