জেলার সংবাদ, কৃষি

কুষ্টিয়ায় নন ইউরিয়া সারের জন্য হাহাকার

শামীম আহমেদ

ডিবিসি নিউজ

শনিবার ১৫ই জানুয়ারী ২০২২ ১১:১৩:১৬ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

নন ইউরিয়া সারের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন পড়ে রবি মৌসুমে। আর এ মৌসুমেই বিএডিসির এই সারের জন্য হাহাকার চলছে কুষ্টিয়ায়। প্রয়োজন মতো সার পাচ্ছেন না ডিলাররা। তাই প্রয়োজন মেটাতে বেশি দামে সার কিনতে হচ্ছে কৃষকদের। সিন্ডিকেটে খোদ ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের নেতা ও অফিসের কর্মকর্তারা জড়িত বলে অভিযোগ ওঠেছে।

কুষ্টিয়ার মাঠে মাঠে চলছে পেঁয়াজ, সরিষা, ভুট্টাসহ বিভিন্ন রবি ফসলের আবাদ। এ সময়টাতে মাঠ প্রস্তুত থেকে শুরু করে ফসলের জন্য নন ইউরিয়া সার এমওপি, টিএসপি ও টিএপিসহ নানা প্রজাতির সার ব্যবহার করেন কৃষকরা। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী পাচ্ছেন না কৃষক, যেটুকু পাচ্ছেন তার জন্য গুনতে হচ্ছে বেশি অর্থ।

এক চাষি বলেন, সরকার তো বলে সারের দাম কম কিন্ত আমরা কিনতে গেলেই তো দেখি বেশি দাম। সার পাওয়া যাচ্ছে না এমনটাই বলে তারা।

জেলায় গত দুই মাস ধরে বিএডিসি নন ইউরিয়া সারের সংকট দেখা দিয়েছে। ২০ গাড়ি সারের জায়গায় মিলছে মাত্র এক গাড়ি। আবার কোন কোন সময় সেটিও চলে যাচ্ছে সিন্ডিকেটের কজ্বায়।

ডিলাররা বলছেন, কুষ্টিয়ার সার কালোবাজারি হয়ে উত্তরবঙ্গে চলে যায়।

এক সার ডিলার বলেন, প্রত্যেকটা ডিলার যদি সঠিকভাবে বিক্রি করে তাহলে এই ক্রাইসিস দেখা যাওয়ার কথা না।

সাম্প্রতিককালে সার সংকটের বিষয়টি মাথায় রেখে এবার রবি মৌসুমে যাতে সারের মজুদ সংকট ও দাম না বাড়ে সে জন্য কৃষি বিভাগ কাজ করছে।

কুষ্টিয়া খামারবাড়ির অতিরিক্ত উপ-পরিচালক বিষ্ণু পদ সাহা বলেন, কৃষকরা যেন সঠিক সময়ে ন্যায্যমূল্যে সার পায় সে কারণে আমাদের মনিটরিং আছে। আমাদের কৃষি অফিসার ও উপপরিচালকের কার্যালয়ে যারা আছেন তারা তদারকি করছেন।

আর কালোবাজারি ও সার সংকটের বিষয়ে কথা বলতে চাননি বিএডিসির যুগ্ম পরিচালক লিয়াকত আলী।

জেলায় বিসিআইসি ও বিএডিসির মোট ডিলার রয়েছে ১৬টি। চলতি মাসে টিএসপি, ডিএপি ও এমওপি সারের বরাদ্দ রয়েছে ১ হাজার ২৬১ মেট্রিক টন। দ্রুত সার সরবরাহ স্বাভাবিক করার পাশাপাশি কালোবাজারি বন্ধ চান ডিলার ও কৃষক।

আরও পড়ুন