কুয়েতসহ মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলোতে শুরু হয়েছে সালাতুল কিয়াম। বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) থেকে শুরু হয়েছে চলবে শেষ রমজান পর্যন্ত।
করোনার কারণে গত দুই বছর নিজ বাসায় আদায় করলেও এই বছর পুনরায় জামাতে লায়লাতুল কদর আদায় করছে স্থানীয় নাগরিক ও বিভিন্ন দেশের প্রবাসী ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা। মধ্যরাতে মসজিদে জামায়াতে তারা রাত জেগে সালাতিল কিয়াম নামাজ আদায় করেন এবং মহিলাদের জন্য রয়েছে আলাদা ব্যবস্থা। রাত জেগে কুরআন তেলাওয়াত তাসবীহ পাঠ, জিকির ইবাদতের মধ্য দিয়ে রাত কাটান তারা। সময় নিয়ে দীর্ঘ কেরাত পাঠ করা হয় এই নামাজে এবং সবশেষে বিতরের নামাজ আদায়ের মধ্যদিয়ে শেষ হয়।
নফল নামাজের মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতময় নামাজ হচ্ছে কিয়ামুল লাইল, যা তাহাজ্জুদ নামাজ হিসেবে পরিচিত। পবিত্র কোরআনে আল্লাহতায়ালা মুত্তাকিদের গুণাবলি বর্ণনা করতে গিয়ে ঘোষণা করেন :'তারা রাতের সামান্য অংশেই নিদ্রায় যেত এবং রাতের শেষ প্রহরে তারা ক্ষমা প্রার্থনা করত' (সুরা আয্যারিয়াত :১৭-১৮)। সুতরাং রাতে কম ঘুমিয়ে নামাজে মশগুল থাকা এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা নেককার, পরহেজগার ও মুত্তাকিদের অন্যতম বিশেষ গুণ।
জমহুর ওলামায়ে কেরাম এবং বিশ্বনবীর হাদিস শরিফের বিশুদ্ধ মতামত যে, কিয়ামুল লাইল হলো এমন এক বিশেষ নফল নামাজ, যে নামাজকে তাহাজ্জুদ বলেই আমরা জানি। গভীর রজনীতে আল্লাহর একান্ত সান্নিধ্য ও নৈকট্য অর্জনের আশায় দুনিয়ার সব ব্যস্ততাকে দূরীভূত করে কায়মনোবাক্যে নিজের মস্তক অবনত করা। আল্লাহর খালিস বান্দা হওয়ার জন্য, নিজের মনের সব আশা-আকাঙ্ক্ষা, দুঃখ-বেদনা, আকুতি পেশ করার উত্তম মাধ্যম হলো কিয়ামুল লাইল (তাহাজ্জুদ) নামাজ।