বিশেষ প্রতিবেদন, কৃষি

কৃষি আধুনিকীকরণ ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে বাংলাদেশ ঈর্ষণীয়

আকরাম হোসেন

ডিবিসি নিউজ

শনিবার ১৮ই সেপ্টেম্বর ২০২১ ১০:০০:২৮ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

আয়তনে ছোট এবং বেশ ঘনবসতিপূর্ণ হলেও স্বাধীনতা পরবর্তী ৫০ বছরে সীমিত সাধ্য নিয়েই বাংলাদেশ একাধিক ক্ষেত্রে বিশ্বে গৌরবোজ্জ্বল ও ঈর্ষণীয় অবস্থান তৈরি করেছে। এর মধ্যে অন্যতম, আধুনিকায়নের মাধ্যমে কৃষি উন্নয়ন এবং খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন।

কৃষির আধুনিক সম্প্রসারণ শুরুই হয় ২০০৯ সাল থেকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় আর সংশ্লিষ্টদের সমন্বিত প্রচেষ্টায়। এর নির্দেশকগুলো পরিসংখ্যাননির্ভর যার ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে প্রয়োগিক বাস্তবতায়। গত ১২ বছরে এই অর্জনের গতি সবচেয়ে বেশি বেড়েছে আর তা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকার ও সংশ্লিষ্টদের সমন্বিত পদক্ষেপে। ফলে এ সম্পর্কিত নীতিগুলো যেমন হয়েছে প্রকৃষ্ট, তেমনি বাস্তবায়নও হয়েছে দুর্বার।

কৃষি যান্ত্রিকীকরণের জন্য কেনা দামের ওপর ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত উন্নয়ন সহায়তার মাধ্যমে কৃষকদের কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হচ্ছে।  ২০১০ থেকে ২০২০, এই এক দশকে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়েছে।

বিশ্বে সর্বপ্রথম তোষা পাটের জীবন রহস্য উন্মোচনের কৃতিত্ব এদেশের কৃষি বিজ্ঞানীদের।  তাছাড়া এই এক যুগে 'বৈরি পরিবেশ সহনশীল' জাতসহ মোট ৬৫৬টি উন্নত ও উচ্চ ফলনশীল জাতের ফসল উদ্ভাবিত হয়েছে। সেচ সুবিধা দিতে আধুনিক যন্ত্র আনা, স্থাপন, অবকাঠামোগত নির্মাণ, সংস্কারকাজেও বেশ এগিয়েছে।

খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনেও বাংলাদেশ ব্যাপক সাফল্য দেখাচ্ছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে খাদ্যশস্য উৎপাদন ৪ কোটি ৫৩ লাখ ৪৩ হাজার মেট্রিক টন হয়েছে। কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও ইন্দোনেশিয়াকে টপকে বাংলাদেশ বিশ্বে ধান উৎপাদনে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে, সবজি উৎপাদনেও তৃতীয়। পাট উৎপাদনে দ্বিতীয়, চা উৎপাদনে চতুর্থ, আলু ও আম উৎপাদনে সপ্তম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।

গত এক দশকে মাছ উৎপাদন বেড়েছে ১৬ লাখ টন বা প্রায় ৫৫ শতাংশ।  প্রতি বছর গড়ে সাড়ে ৫ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

২০১৯-২০ অর্থবছরে দুধের উৎপাদন বেড়ে দাঁড়ায় ১ কোটি ৬ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন, মাংস উৎপাদন ৭৬ লাখ ৭৪ হাজার মেট্রিক টন ও ডিম উৎপাদন ১ হাজার ৭৩৬ কোটি।  সবগুলোই ১০ গুণের বেশি বেড়েছে।

জাত উন্নয়নের ফলে গরু-মহিষের দুধ উৎপাদন বেড়েছে ৬ থেকে ১৫ গুণ পর্যন্ত।প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় বলছে, চার বছর ধরে শতভাগ দেশি গরু দিয়েই মিটছে কোরবানির পশুর চাহিদা।

আরও পড়ুন