জমির উর্বরতা বাড়ানোর কোনো উপাদান নয়, লাল ও সাদা মাটি মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে সার। ভুয়া উপকরণে বানানো হচ্ছে কীটনাশক ও জমি উর্বরতার বিভিন্ন ওষুধ।
কেরানীগঞ্জে মেঘনা ফার্টিলাইজার নামে এমন একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে অর্ধশত কোটি টাকা মূল্যের ভেজাল সার ও নকল কীটনাশক জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুলিশের উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তার পৃষ্ঠপোষকতায় চলছিলো কারখানাটি।
গাজীপুর থেকে ট্রাকে করে আনা হয় মাটি। এরপর মেশানো হয় ক্ষতিকর বিভিন্ন উপকরণ। এভাবেই তৈরী হচ্ছে টিএসপি সার ও নানান ব্র্যান্ডের কিটনাশক।
ভেজাল কৃষি উপকরণ উৎপাদনকারী এই কারখানাটি এক পুলিশ কর্মকর্তার পৃষ্ঠোপোষকতায় চলছিলো বলে অভিযোগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও এলাকাবাসীর।
কারখানাতে সারের পাশাপাশি বানানো হতো প্রায় ২০ থেকে ৩০টি কোম্পানির কীটনাশক ওষুধ ও নকল কৃষি উপকরণ। কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেব জানান,'এখানে সার থেকে শুরু করে কীটনাশক সবই দুইনাম্বার উপায়ে তৈরী হচ্ছে।'
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বলছে, নকল পণ্য ব্যবহারে উৎপাদন কমার পাশাপাশি মাটির উর্বরতাও কমে যাচ্ছে। ঢাকা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন,'তাদের নামে কোন লাইসেন্স নাই। তাদেরকে কোন অনুমতি পত্রও দেয়া হয় নাই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে।'
অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা না গেলেও কারখানাটি সীলগালা করা হয়েছে।